ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

‘দশমীর দিন মন খারাপ হয়ে যেত’

আমিনুল ইসলাম শান্ত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:০৫, ২৫ অক্টোবর ২০২০   আপডেট: ১৭:৫২, ২৫ অক্টোবর ২০২০
‘দশমীর দিন মন খারাপ হয়ে যেত’

বছর ঘুরে মর্ত্যলোকে পড়েছে মায়ের পা। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের থাকে নানা পরিকল্পনা। কিন্তু মহামারি করোনার কারণে এবারের চিত্র ভিন্ন।

দুর্গাপূজা উপলক্ষে রাইজিংবিডির সঙ্গে কথা বলেছেন দুই পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রেী অপর্ণা ঘোষ। তিনি বলেন—কৈশোরের পূজা ছিল অনেক আনন্দের। বর্তমানে ব্যস্ততার কারণে সেই আনন্দ এখন আর উপভোগ করা হয়ে উঠে না। ছোটবেলার পূজার স্মৃতি খুব মনে পড়ে।

অপর্ণা ঘোষের জন্ম চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটিতে। শৈশব কেটেছে রাঙামাটি ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। শৈশবের পূজার স্মৃতি স্মরণ করে এ অভিনেত্রী বলেন—পূজার সময় সারা চট্টগ্রাম শহর চষে বেড়াতাম। দিনরাত মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে পূজা দেখতাম। মজার বিষয় হলো—এ সময় বাসায় ফিরতে যদি দেরি হতো তবে কেউ বকা দিতো না।

যেকোনো উৎসবকে ঘিরে ছোটদের কেনাকাটা করার রীতি সব কালেই ছিল। কিন্তু ছোটদের বেশি আনন্দের বিষয় হলো আগত উৎসবের জন্য অপেক্ষা। আর অপর্ণা ঘোষের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ছিল না। তার ভাষায়—কয়েক মাস আগে থেকেই পূজার আনন্দ শুরু হয়ে যেত। কেন আসছে না এটা ভেবেই আর তর সইত না। ছোটবেলায় বাবার সঙ্গে মার্কেটে গিয়ে কেনাকাটা করতাম। তাছাড়া আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকেও উপহার পেতাম নতুন পোশাক।

চট্টগ্রাম শহরের কালীবাড়ি, প্রবর্তক, শিববাড়ি, জেএমসেন হলসহ ছোট বড় পূজা মণ্ডপে দিনরাত বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরে বেড়াতেন অপর্ণা। কিন্তু পূজা শুরু না হওয়া পর্যন্ত নতুন জামা-জুতা বন্ধুদের দেখাতেন না বলে জানান তিনি।

রঙ খেলার কথা উল্লেখ করে অপর্ণা ঘোষ বলেন—রঙ খেলার দিন বাবা-মা, কাকা-কাকি সবাই যেন বন্ধু হয়ে যেতাম। এইদিন কোনো বাছবিচার ছিল না। কে কাকে কত রঙ মাখিয়ে দিতে পারে তা নিয়ে চলত প্রতিযোগিতা। কিন্তু প্রতিমা বিসর্জনের কথা ভেবে, দশমীর দিন সন্ধ্যার পর থেকে মন খারাপ হয়ে যেত!

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়