ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

চিরনিদ্রায় শায়িত গীতিকার ফজল-এ-খোদা

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২৫, ৪ জুলাই ২০২১   আপডেট: ১৭:৩৬, ৪ জুলাই ২০২১
চিরনিদ্রায় শায়িত গীতিকার ফজল-এ-খোদা

গীতিকার ফজল-এ-খোদা (ছবি: তাপস রায়)

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন প্রখ‌্যাত গীতিকার ফজল-এ-খোদা। রোববার (৪ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে নগরীর রায়ের বাজার কবরস্থানে সমাহিত করা হয় তাকে।

এসব তথ‌্য নিশ্চিত করে ফজল-এ-খোদার পুত্র ওয়াসিফ-এ-খোদা জানান, সকালে জানাজা শেষে ফজল-এ-খোদার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় রায়ের বাজার কবরস্থানে। সেখানে পরিবার ও ঘনিষ্ঠজনদের উপস্থিতিতে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন আগে ফজল-এ-খোদার বড় ছেলে করোনায় আক্রান্ত হন। এরপর গত ২৯ জুন করোনা পরীক্ষায় ফজল-এ-খোদা ও তার স্ত্রীর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। প্রথমে বাসা থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তারা। শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে গত ৩০ জুন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় প্রখ‌্যাত এ গীতিকারকে। রোববার (৪ জুলাই) ভোর ৪টার দিকে মারা যান তিনি।  এদিকে করোনায় আক্রান্ত তার স্ত্রী মাহমুদা সুলতানা মঞ্জু এখনো সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানা গেছে। 

অনেক কালজয়ী গানের গীতিকার ফজল-এ-খোদা। তার লেখা উল্লেখযোগ্য গান হলো—‘সালাম সালাম হাজার সালাম’, ‘যে দেশেতে শাপলা শালুক ঝিলের জলে ভাসে’, ‘ভালোবাসার মূল্য কত, ‘আমি কিছু জানি না’, ‘কলসি কাঁখে ঘাটে যায় কোন রূপসী’, ‘বাসন্তী রং শাড়ি পরে কোন রূপসী চলে যায়’, ‘আমি প্রদীপের মতো রাত জেগে জেগে’, ‘ভাবনা আমার আহত পাখির মতো’, ‘প্রেমের এক নাম জীবন’, ‘বউ কথা কও পাখির ডাকে ঘুম ভাঙেরে’, ‘খোকন মণি রাগ করে না’।

১৯৪১ সালের ৯ মার্চ পাবনা জেলার বেড়া থানার বনগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ফজল-এ-খোদা। ১৯৬৩ সালে বেতারে গীতিকার হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৬৪ সালে টেলিভিশনে গীতিকার হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ছড়াকার হিসেবে লেখালেখি শুরু করেছিলেন। দেশাত্মবোধক, আধুনিক, লোকসংগীত এবং ইসলামি গান লিখে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়