ঢাকা     সোমবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৭ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

কানাডায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা: চোখ মেলে তাকিয়েছেন কুমার বিশ্বজিতের পুত্র

বিনোদন ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৪২, ৩০ এপ্রিল ২০২৪   আপডেট: ১৯:৫০, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
কানাডায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা: চোখ মেলে তাকিয়েছেন কুমার বিশ্বজিতের পুত্র

বাবা-মায়ের সঙ্গে নিবিড়

পুত্র নিবিড়ের আকস্মিক সড়ক দুর্ঘটনা বদলে দিয়েছে বরেণ্য সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের জীবনের সব হিসাব-নিকাশ। দীর্ঘ ১৪ মাস ধরে কানাডার টরন্টোর সেন্ট মাইকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন কুমার বিশ্বজিতের একমাত্র সন্তান। আনন্দের খবর হলো, দীর্ঘদিন পর চোখ মেলে তাকিয়েছেন নিবিড়।

সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে কানাডায় উড়ে যান কুমার বিশ্বজিৎ। সেখানে টানা ১৪ মাস অবস্থান করেন তিনি। গত ১৮ এপ্রিল বাংলাদেশে এসেছেন। দেশে ফিরে পুত্রের শারীরিক অবস্থার উন্নতির কথা জানিয়েছেন দেশের একটি গণমাধ্যমকে।

আরো পড়ুন:

কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, ‘এতগুলো মাস হাসপাতালের বিছানায় শোয়া ছিল নিবিড়। এখন নিবিড়কে তুলে চেয়ারে বসানো যায়। ঘাড় ঘোরায়, হাত-পা ফ্লেক্সিবল হয়েছে। এত দীর্ঘ সময় বিছানায় শুয়ে থাকতে থাকতে হাত–পা সব অসাড় হয়ে গিয়েছিল। মাস দুয়েক ধরে চেয়ারে তুলে বসানো হচ্ছে। সবকিছু আস্তে আস্তে হচ্ছে, খুবই ধীরে ধীরে। তবে এখনো তাকে কৃত্রিম উপায়ে খাবার খাওয়ানো হচ্ছে।’

নিবিড় এখন চোখ মেলে তাকান। এ তথ্য উল্লেখ করে কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, “নিবিড়ের অভিব্যক্তি দেখে মনে হয় বাবা-মাকে চিনছে। অনেক সময় ৩৬০ ডিগ্রিতে ঘোরা। নিবিড়কে যখন বলা হয়, ‘বাবা আসছে, মা আসছে’, তখন বোঝা যায়, আমাদের চেনে। মা যখন বলে, ‘আমাদের চিনতে পারো?’ তখন তার অভিব্যক্তি দেখে বুঝতে পারি, হয়তো চিনছে। অপেক্ষায় আছি কখন বাবা বলে ডাকবে।”

তবে নিবিড় এখনো পুরো সুস্থ নন। অনেকগুলো প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তার চিকিৎসা চলবে। এ বিষয়ে কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, ‘নিবিড়ের শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। কিন্তু কবে যে পুরোপুরি সুস্থ হবে, তা বলা মুশকিল। এখনো হাসপাতালে থাকতে হচ্ছে। আমি কানাডায় যাওয়ার পর হাসপাতাল থেকে রিহ্যাবে নেওয়া হবে।’

‘রিহ্যাবে নেওয়ার পর নিবিড়কে ফিজিওথেরাপি, স্পিচথেরাপি, স্টিমিউলেটেড থেরাপি দেওয়া হবে। এসব থেরাপি হাসপাতালে ওইভাবে হয় না। নিবিড়ের চিকিৎসা এখন আর হাসপাতালের নয়, তাই কানাডায় ফিরে রিহ্যাবে নেওয়ার সব ধরনের ব্যবস্থা করতে হবে। রিহ্যাবের সময়টাও দীর্ঘ। থেরাপি শুরুর আগে দেশের কিছু কাজ গুছিয়ে নিতে এসেছি।’ বলেন কুমার বিশ্বজিৎ।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে টরন্টো নগরীর অদূরে মিসিসাগা এলাকায় ৪২৭ হাইওয়ে ও ডানডাস ইন্টারসেকশনের সন্নিকটে ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরিয়ান আলম দীপ্ত, শাহরিয়ার খান ও অ্যাঞ্জেলা বারৈ নামে ৩ বাংলাদেশি ছাত্র নিহত হন।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়