প্যারিস জ্যাকসনের জীবনের করুণ অধ্যায় সম্পর্কে জানেন?
বিনোদন ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্যারিস জ্যাকসন
বিশ্বখ্যাত পপ তারকা মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যুর পরপর গুগল, টুইটারসহ বিশ্বের বড় কয়েকটি ওয়েবসাইট কিছু সময়ের জন্য ক্র্যাশ করে। মাইকেল ভক্তরা তাদের প্রিয় গায়কের মৃত্যুর খরব জানতে ইন্টারনেটে হুমড়ি খেয়ে পড়েছিলেন। তাতেই ক্রাশ করেছিল গুগল, টুইটার। কিছু সময় পর সেগুলো স্বাভাবিক হতে শুরু করে কিন্তু মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যুর পর সবচেয়ে বেশি ভেঙে পড়েছিলো তার টিনেজার মেয়ে প্যারিস জ্যাকসন। তার স্বাভাবিক হতে লেগে গেছে অনেক সময়। এর মধ্যে ঘটে গেছে অনেক ঘটনা।
একজন সেলিব্রেটি বাবার সন্তান হিসেবে প্যারিস জ্যাকসন যে সংগ্রাম করেছেন তা নানা কারণে উল্লেখযোগ্য। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর বাবার সঙ্গেই থাকতেন প্যারিস। মায়ের সঙ্গে দেখার করার সুযোগ ছিল না। বাবার মৃত্যুর পর একাকীত্বে ভুগতে শুরু করেন প্যারিস। এরপর আত্মহত্যা করার চেষ্টা চালান। ২০১৩ সালে জুন মাসের দিকে রান্নাঘরে ছুরি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালানোর পরে তাকে লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রাণে বেঁচে ফেরেন। তবুও হতাশা কাটাতে বেশ কয়েক বছর লেগে গেছে তার।
প্যারিস জ্যাকসন সিএনএন এর ‘রেড টেবিল টক টেকওভারে’ জানিয়েছিলেন মানসিক চাপ সহ্য করতে পারছিলেন না তাই আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন।
প্যারিস জ্যাকসনের মা ডোবি রোও একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘বিচ্ছেদের পরে আমি কো-প্যারেন্টিংয়ের সুযোগ পাচ্ছিলাম না। মা হিসেবে দায়িত্ব পালন করার ইচ্ছাও প্রকাশ করিনি। কারণ মাইকেল জ্যাকসন আমাকে ছাড়াই প্যারিসকে অত্যন্ত যত্ন সহকারে বড় করছিলেন।’’
প্যারিস জ্যাকসনের বয়স ১৫ বছর হওয়ার পরে সে তার মা ডোবি রোও- এর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ লাভ করে। একটা পর্যায়ে প্যারিস জ্যাকসনের সঙ্গে তার মায়ের দারুণ সখ্যতা গড়ে ওঠে। কিন্তু ২০১৭ সালে ডোবি রো ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মা ডোবি রোও যখন ক্যান্সারে ভুগছিলেন, প্যারিস ইন্সটাগ্রামে মায়ের সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে লেখেন, ‘‘আমি একজন ফাইটার, তুমিও একজন ফাইটার। তোমাকে ভালোবাসি মা।’’
২০২০ সালে প্যারিস জ্যাকসনের প্রথম অ্যালবাম ‘উইলটেড’ রিলিজ হয়। তিনি জানান, গান তার জীবন বাঁচিয়েছে। তিনি তার মানসিক চাপ মোকাবিলা করতে পেরেছেন। তার বাবার সাফল্যের সঙ্গে তাল মেলাতে পেরেছেন।
ঢাকা/লিপি