ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৩ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

জয়ের জীবন বদলে দিয়েছে জায়েদ খান, পূর্ণিমা, অপু

বিনোদন ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:১৭, ৭ মে ২০২৫   আপডেট: ০৯:২৫, ৭ মে ২০২৫
জয়ের জীবন বদলে দিয়েছে জায়েদ খান, পূর্ণিমা, অপু

শাহরিয়ার নাজিম জয়, জায়েদ খান, পূর্ণিমা, অপু বিশ্বাস

একটি বেসরকারি টেলিভিশনে  ‘সেন্স অব হিউমার’ নামের অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন শাহরিয়ার নাজিম জয়। ‘সেন্স অব হিউমার’-এর শুরুর গল্প সম্পর্কে জয় একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘আমি আসলে এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান স্যারের নাটক চাইতে গিয়েছিলাম। উনার কাছে অনেকেই নাটক চাইতে যেতো, তদবিরের কারণে উনি রাগ করতেন। আবার সবাইকে ভালোও বাসতেন। আমাকে বললেন, খালি নাটক নাটক করেন, ম্যাগাজিন করেন। আমার মনে হলো একটা কিছুতো দিলো। আমি রাজি হয়ে গেলাম। উনি বললেন, আপনি ম্যাগাজিন করেন, আমি পাস করে দিচ্ছি। প্রথমে ‘মামা-ভাগিনা’ নামের একটি ম্যাগাজিন অুনষ্ঠান চিন্তা করলাম। ডা. এজাজকে বললাম, তুমি হবা মামা, আমি ভাগিনা। এজাজ বললো, কোনো সমস্যা নাই। আমি স্ক্রিপ্ট মোটামুটি গবেষণা করে উনাকে যখন খুঁজি উনি আর ফোন ধরে না। তখন ভাবলাম এতো পিছলা, ধরা যাবে না। তখন অভিনেতা মীরা সাব্বিরকে বললাম, আসো আমরা দুইজনে মিলে একটা কিছু করি। তখন সে টেলিভিশনের ব্যস্ততম অভিনেতা। আমাকে বলছে যে করবে, কিন্তু বুঝলাম যে ওরে দিয়েও হবে না। তখন আমি একটা সহজ ফর্মুলায় চলে গেলাম।’’

বলা ভালো ‘সেন্স অব হিউমার’ অনুষ্ঠানে শাহরিয়ার নাজিম জয় অতিথিদের যেসব প্রশ্ন করেন, সেগুলো কখনও আলোচিত আবার কখনও তুমুলভাবে সমালোচিত। তবে জয় জানিয়েছেন শুরুতে বুদ্ধিদীপ্ত প্রশ্ন করার উদ্দেশ্য ছিল তার। এই অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন, ‘লাল গোলাপ’ এর উপস্থাপক শফিক রেহমানের কাছ থেকে।  ওই অনুষ্ঠানের ধরণ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে দুই একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করার পরে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার চিঠি পান তিনি।

আরো পড়ুন:

শাহরিয়ার নাজিম জয় বলেন, ‘‘কয়েকটি পর্ব যাওয়ার পরে এটিএন থেকে আমাকে বলা হলো, এটা একটা মানহীন, অগুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান। একটা চিঠি আমার নামে ইস্যু হলো। আমাকে চিঠিটা ধরিয়ে দিলেন চেয়ারম্যান স্যার। আমি ওনাকে বললাম, আমাকে আর তিনটা মাস সময় দেন। উনি বললেন, চ্যানেলতো মানবে না। উনি কি এক মায়ায় আমাকে সুযোগটা দেন।তখন শিল্পী সমিতির ইলেকশন ছিল। জায়েদ খানকে ফোন করে বললাম আপনার প্রোমোশন করবো এটিএন বাংলায়। উনি বললেন, আপনি প্রোমশন করবেন, আমি পূর্নিমাকে নিয়ে আসবো। আর কাকে কাকে লাগবে? জায়েদ খান পূর্ণিমাকে নিয়ে আসলেন। স্বাভাবিকভাবে পূর্ণিমার ক্রেজ, জায়েদ খানের উল্টা-পাল্টা কথা আমার কোনো এফোর্ট ছাড়াই প্রোগ্রাম হাইলাইটেড হয়। জায়েদ খানই আমাকে দুই চারজন ভালো ভালো গেস্ট অ্যারেঞ্জ করে দেয়। ইলেকশন উপলক্ষ্যেই। এক ইলেকশন কেন্দ্র করেই আমি মোটামুটি এগিয়ে যাই।’’

শাহরিয়ার নাজিম জয় তার উপস্থাপনা ক্যারিয়ারের টানিং পয়েন্ট হিসেবে উল্লেখ করেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের এপিসোডকে।
এই উপস্থাপক বলেন, ‘‘ফাইনালি, আমার ফোনে অপু বিশ্বাস আসে একদিন। অপু বিশ্বাসকে আমি জিজ্ঞাসা করলাম, কেমন আছো? সে উত্তর দিলো, বুবলি থাকতে আমি ভালো থাকি কীভাবে? এই হচ্ছে, আমার টার্নিং পয়েন্ট। অনুষ্ঠান পুরাই হিট।’’

সে সময় গান গেয়ে টক অব দ্য কান্ট্রিতে পরিণত হয়েছিলেন ড. মাহফুজুর রহমান। তাকেও নিজের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানান জয়।

জয় বলেন, ‘‘আমি ড. মাহফুজুর রহমানকে আমার অনুষ্ঠানে আসার ইঙ্গিত দিলাম। এক ইঙ্গিতেই উনি রাজি হয়ে গেলেন। তখন উনি গান দিয়ে ব্যাপক হিট। ডেসপারেট এবং এন্টারটেইনিং প্রশ্ন ছিল। ওই অনুষ্ঠানটা মানুষ লুফে নিয়েছিল।’’
 

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়