ঢাকা     সোমবার   ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ১ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

নাঈমের বাড়িতে শাবনাজের প্রথম ঈদের স্মৃতি

রাহাত সাইফুল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৩৬, ৮ জুন ২০২৫   আপডেট: ১৫:৩৯, ৮ জুন ২০২৫
নাঈমের বাড়িতে শাবনাজের প্রথম ঈদের স্মৃতি

নাঈম, শাবনাজ

এক সময় ছিল, ঈদের সিনেমার মানেই ছিল হলজুড়ে হুল্লোড়, পত্রিকায় হিট হেডলাইন, আর দর্শকের মনে প্রিয় নাম নাঈম-শাবনাজ। নব্বইয়ের দশকে এই জুটি এসেই যেন বদলে দিয়েছিলেন বাংলা সিনেমার ব্যাকড্রপ। প্রেম, গান, একশন—সব কিছুতেই তারা ছিলেন দর্শকের চোখের মণি। আর ঈদ পূর্ণতা পেত তাদের সিনেমা দিয়েই। আজ হয়তো তারা অভিনয় থেকে অনেক দূরে, তবে স্মৃতির মঞ্চে এখনও তারা সুপারহিট!

ঈদের সিনেমা মুক্তি মানেই কেবল রিলিজ না, ছিল একেবারে উৎসবের প্রস্তুতি! শাবনাজ নিজেই স্মৃতিচারণ করলেন। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, “ঈদের আগের রাতেই আমাদের টেনশন শুরু হতো! আমরা, নাঈম, সাদেক বাচ্চু ভাই, পরিচালকসহ পুরো দল লেট নাইটে গাড়ি নিয়ে বের হতাম। এক হলে ঢুকি, ব্যানার দেখি; অন্য হলে গিয়ে দেখি আমাদের পোস্টার কেমন লাগছে! সত্যি বলতে, ঈদের আগের রাতের সেই উত্তেজনা কাজ করতো।”

আরো পড়ুন:

ঈদের দিন সকাল হতেই নতুন এক টেনশনের শুরু—প্রথম শো কেমন যাবে? দর্শক কেমন নেবে? আর দুপুর গড়াতে না গড়াতেই হাসিমুখ, হাতভর্তি ফুল, আর ভক্তদের ভালোবাসায় ভরে যেত দিনটা। 

“শোয়ের পর দর্শক আসতো আমাদের সঙ্গে দেখা করতে। তখন সেলফি না, অটোগ্রাফ ছিল বড় ব্যাপার! ফুল নিয়ে আসতো, খুশিতে অটোগ্রাফ নিতো। এখন সেসব কিছু সস্তা হয়ে গেছে। এখন তো সবাই শুধু ফোন বের করে ভিডিও করে আর সেলফি তোলে!”—হাসতে হাসতে বলেন শাবনাজ।

শুধু বড়পর্দা নয়, তাদের জনপ্রিয়তা পৌঁছে গিয়েছিল চকলেটের মোড়ক আর আইসক্রিম প্যাকেটেও! শাবনাজ বলেন, “আমার শাশুড়ির কাছেও নাঈম-আমার ছবিওয়ালা ভিউকার্ড জমা করা ছিল। তখন এসব পেয়ে খুব আনন্দ হতো। এখন এসব যেন শুধুই গল্প হয়ে গেছে...”

প্রশ্ন ছিল, বিয়ের পর প্রথম ঈদ কোথায়? উত্তরে এল এক ঝলমলে গ্রামীণ গল্প— শাবনাজ বলেন, “টাঙ্গাইলে ঈদ করেছিলাম। গ্রামের সবাই আমাকে দেখতে এসেছিল! আমি নিজে রান্না করেছিলাম সেদিন। যদিও রান্নার অভিজ্ঞতা খুব একটা ছিল না, তাও চেষ্টা করেছিলাম। আর একটা কথা না বললেই নয়—আমি রান্না শিখেছি নাঈমের কাছ থেকেই। ওর হাতে গরুর পায়া... আহ! আমার না, পুরো পরিবারেরই স্পেশাল পছন্দ!”

আজ হয়তো তাদের পোস্টার দেখি না সিনেমা হলে, অটোগ্রাফ নেয়ার ভিড়ও দেখি না... কিন্তু নাঈম-শাবনাজ নামটা এখনও ঈদের ভাঁজে এক রকমের অনুভব হয়ে জেগে থাকে—মিষ্টি স্মৃতি, সিনেমার প্রেম আর হারিয়ে যাওয়া ঈদের ঘ্রাণ হয়ে।

ঢাকা/রাহাত/লিপি

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়