করোনা সুরক্ষা সামগ্রীর অব্যবস্থাপনা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি: পবা
করোনা মহামারিতে ব্যবহৃত সুরক্ষা সামগ্রী যত্রতত্র ফেলা এবং সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে বলে মন্তব্য করেছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)।
বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুআরি) জাতীয় প্রেসক্লাবে পবা কর্তৃক করোনা মহামারিতে নিউ নরমাল সময়ের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক নাগরিক সংলাপে এ কথা বলা হয়।
এ সময় পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি আবু নাসের খান বলেন করোনা দুর্যোগ মানুষের জীবন ও জীবিকাকে লণ্ডভণ্ড করে ফেলেছে। নাক মুখ বন্ধ করা এই করোনাভাইরাস রোগ আমাদের জন্যে একটি নতুন পৃথিবী ও নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করার আভাস দিয়েছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শুধুমাত্র বাংলাদেশেই ৮ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। এ সময়ে মানুষ করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত থাকার জন্য মাস্কের পাশাপাশি গ্লাভস, হেড কভার, সু-কাভার, গগলস পিপিই, ফেইসশিল্ড বা গাউনসহ নানা রকম সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করছে।
কিন্তু সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে তখনি যখন এসব সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহারের পর যেখানে সেখানে ফেলে দিচ্ছে। এতে করে এসব সুরক্ষা সামগ্রী বৃষ্টির পানিতে ধুঁয়ে অথবা অন্যকোনো উপায়ে চলে যাচ্ছে ড্রেনে, ড্রেন থেকে নদী ও সাগরের তলদেশে গিয়ে নষ্ট করছে জীব বৈচিত্র্য ও পরিবেশ।
করোনা সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহারের পর রাস্তাঘাটে ফেলে দেওয়ার ফলে বাড়ছে দূষণ, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকিও। এছাড়া কিছু হাসপাতাল, ক্লিনিকের বর্জ্য যুক্ত হচ্ছে এই দূষণে।
এ সময় তিনি করোনা সুরক্ষা সামগ্রী যেখানে সেখানে ফেলে রাখার ক্ষতিকর দিক নিয়ে কথা বলেন।
পবার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আব্দুস সোবহান উন্নত বিশ্বের উদাহরণ টেনে বলেন বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের হাসপাতালের বর্জ্য হয় নিরাপদে ইনসিনারেট (বৈজ্ঞানিক উপায়ে পোড়ানো) হয় অথবা অটোক্লেভ করে ফেলে দেওয়া হয়।
এক্ষেত্রে বাংলাদেশ কোনটাই পুরোপুরিভাবে পালন করছে না এক্ষেত্রে নগরবাসী পক্ষ থেকে কিছু দাবি তুলে ধরেন।
এ সময় বারসিক সমন্বয়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, করোনা মহামারি আমাদের জীবনকে বিপন্ন করে দিচ্ছে। এ সময় আমরা যদি করোনা সুরক্ষা সামগ্রী যেখানে সেখানে ফেলে পরিবেশে দূষণ করি, তাহলে করোনা থেকে বেঁচে গেলেও পরিবেশে দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডা. বিলকিস বেগম চৌধুরী (সহযোগী অধ্যাপক কুমুদিনী হাসপাতাল)।
মনির/হাসান/সাইফ
আরো পড়ুন