ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

বাংলাদেশে ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:১৩, ১৯ মে ২০২৩  
বাংলাদেশে ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

২০২৩ এর ১৯-২১ মেরজাপানের হিরোশিমায় অনুষ্ঠিতব্য ৪৯তম জি-সেভেন সম্মেলনের আগে জি-সেভেন দেশগুলোর নেতাদের অবিলম্বে বাংলাদেশে ব্যয়বহুল ও জলবায়ুর জন্য ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানি-ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ করতে এবং দ্রুততার সাথে টেকসই নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশের তরুণ জলবায়ু কর্মীরা।

শুক্রবার (১৯ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ফ্রাইডেস ফর ফিউচার বাংলাদেশ এবং ইউথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস আয়োজিত এক সমাবেশে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগের অবসান এবং জীবাশ্ম জ্বালানি আমদানিতে দেশের নির্ভরতা কমানোর অঙ্গীকার করেছে।

সমাবেশে তারা বলেন, এবারের জি-সেভেন সম্মেলনে বিশ্বনেতারা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সংকটের পাশাপাশি জলবায়ু সংকটের মতো জরুরি বিষয় নিয়েও আলোচনা করবেন। বিশ্বনেতারা ২০৩০ সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ থেকে পর্যায়ক্রমে বেরিয়ে আসার উপায় নিয়ে আলোচনা করবেন। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের এই জি-সেভেন দেশগুলোর নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়ানো ও ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসার বিষয়ে উন্নত দেশগুলোর পরিকল্পনা এবং উদ্যোগগুলো জানা খুবই জরুরি।

জি-সেভেন দেশগুলোর সরকার উন্নয়নশীল দেশগুলোর বিশেষ করে বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তায় জোর দিয়ে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়ানোর বিষয়ে আর্থিকভাবে ও প্রযুক্তিগত সাহায্য নিয়ে দ্রুতই এগিয়ে আসবে। সমাবেশে এমনটাই দাবি করেন বাংলাদেশের তরুণ জলবায়ু কর্মীরা।

ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ICCCAD) এর পরিচালক অধ্যাপক সালিমুল হক বলেন, জলবায়ু সংকট শুধুমাত্র ভবিষ্যতের জন্য একটি বিমূর্ত হুমকি নয়; বরং এটি ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ এবং সারা বিশ্বের দুর্বল জনগোষ্ঠীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণ, কিন্তু এই বিপর্যস্ত মানুষগুলো এই ক্ষয়ক্ষতির জন্য সবচেয়ে কম দায়ী। 

/মামুন/এসবি/

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়