ঢাকা     রোববার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৬ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

দেশে দেশে জাতীয় ফুল

তিমির মুস্তাফা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:১২, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দেশে দেশে জাতীয় ফুল

তিমির মুস্তাফা : আমরা মধ্যপন্থী। রাজনীতি সচেতন। উগ্র জাতীয়তাবাদ ভিত্তিক বাঙালি নাকি বাংলাদেশি ? এ জাতীয় বিতর্কে না গিয়ে, জাতীয়তার সুকুমার বৃত্তির একটা অভিন্ন বিষয় নিয়ে বরং কথা বলি! আমাদের আজকের বিষয় জাতীয় ফুল!

 

জাতীয় প্রতীক হিসেবে ফুলকে, প্রথম কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়া ব্যবহার করলেও এখন পৃথিবীর বহু দেশেরই ‘জাতীয় ফুল’ বলে একটা জাতীয় প্রতীক নির্দিষ্ট হয়ে গেছে! বাংলাদেশের জাতীয় ফুল যে ‘শাপলা তা ছেলে বুড়ো সবাই জানে! যদি বলি কোন শাপলা? সাদা ? গোলাপী নাকি লাল? ডায়রি দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে! বলে দিলাম - সাদা!

 

আমার এ লেখায় প্রথম জাতীয় ফুল অবশ্যই শাপলা!

 

সাধারনভাবে, জাতীয় ফুল নির্বাচন করা হয়। দেশে ফুলটির সহজলভ্যতা রয়েছে কি না কিংবা দেশে অতি পরিচিত কি না। আকর্ষণীয় হতেই হবে- নাহলে মানুষ তাকে জাতীয় মর্যাদা দিতে চাইবে কি! আর কোন ভাবে দেশেটির সাথে এ ফুলের নাড়ির সম্পর্ক আছে কি না, বা কোন বিশেষ মর্যাদার প্রশ্ন জড়িত থাকলে তো কথাই নেই!

 

বাংলাদেশ নদী মাতৃক দেশ। এর নদী নালা খাল বিলে বিশেষ করে ¯্রােত বিহীন জলাশয়ে শাপলা ফুলে ফুলে ছেয়ে থাকে! যত্র তত্র পাওয়া যায় এজন্য অনেকেই একে কদর দিতে জানেন না! তবে খাল বা জলাশয়ে শত শত শাপলা ফুটে আলো করে রাখে যখন, একে তারার মেলা বললে ভুল হয় না ! কাক-চক্ষু জলে, নীল আকাশ প্রতিবিম্বিত হচ্ছে এমন পুকুরে বা খালে বিলে অজ¯্র শ্বেত শাপলা ফুটে যে সৌন্দর্য বিস্তার করে, তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এর জন্য কোন শ্রম দিতে হয় না- এ জন্যই বোধ হয় অনেকে এর মূল্য বোঝেন না! যার জন্য ‘দাম দিতে হয় না- বাঙালি তার মর্যাদা দিতে শেখেনি, তা ‘অমূল্য হলেও আমদের কাছে সস্তা, ‘মুল্যহীন হয়ে পড়েছে- অনেক ক্ষেত্রেই, দুর্ভাগ্য আমাদের!

 

শুধু ফুলের সৌন্দর্যেই শেষ নয়, এর ফলও অত্যন্ত উপকারী! এর বীজ থেকে তৈরি খৈ খেয়েছি ছোট বেলায়। দরিদ্র ক্ষুধার্ত মানুষকে এগুলো পয়সা দিয়ে কিনতে হয় না- জলাশয়ে নামলেই একবেলার ক্ষুধা নিবারণের খাদ্য যোগাড় হয়ে যাবে! এর সরু কাঠির মত দীর্ঘ কান্ডটিও ফেলনা নয়! সব্জি হিসেবে চাহিদা রয়েছে!

 

আচ্ছা, বলুন তো, বাড়ির পাশের শ্রীলংকার জাতীয় ফুল কি?

 

হাতের কাছে ‘স্ক্রিন আর ওয়েব সংযোগ থাকলে আপনি এখন ছুটবেন ‘গুগল বাবাজীর ‘পদচুম্বন করতে! যাক, আমরা আপনার খাটুনি বাঁচিয়ে দিলাম! ওদের জাতীয় ফুলও শাপলা- তবে নীল শাপলা, বা নীল মানেল ( বৈজ্ঞানিক নাম আগে Nymphaea stellata বলা হলেও, এখন বাংলার জাতীয় ফুলের নামেই তার বৈজ্ঞানিক নাম- Nymphaea nouchali! মিশরীয় শাপলা Nymphaea caerulea এর নিকটাত্মীয়! পরিবার Nymphaeaceae! খাদ্য ও সৌন্দর্য চর্চা ছাড়াও আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে ‘অম্বল নামে এর ঔষধ হিসেবে ব্যবহারের উল্লেখ রয়েছে!

 

জলে ফুটে থাকে কিন্তু এর আত্মীয়তা মাটির সাথে- শেকড় আটকে থাকে মাটিতে! এর মূল শেকড়ও ফেলনা নয়, ফলের মত এও কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাদ্য উপাদান! দরিদ্র মানুষ বিলের পানিতে ‘অযত্নে লালিত এই খাদ্য ‘বিনা মূল্যে সংগ্রহ করত, পুড়িয়ে বা সেদ্ধ করে খেত! এখনও তা করে কি না কে জানে! পানির দৈর্ঘ বৃদ্ধি পেলে এর কান্ড দ্রুত দৈর্ঘ বাড়িয়ে পানির সাথে তাল দিয়ে বেড়ে উঠে এবং শাপলা সব সময় মাথাটা পানির উপরেই ভাসিয়ে রাখে !

 

এক সময় কবিতা ( ধাঁধা) পড়েছিলামঃ
হরির উপরে হরি
হরি বসে চায়,
হরিকে দেখিয়া হরি
হরিতে লুকায়!
প্রথম হরি, কিন্তু শাপলা ( বা পদ্ম) এর বিশাল সবুজ পাতা- যা পানির উপরে বিছিয়ে থাকে! বাঁকি ‘হরি’ গুলো পাঠকদের র জন্য ধাঁধা!

 

বিশ্বে জাতীয় ফুলের মর্যাদা নিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর ফুল রয়েছে! অনেক গুলো আমাদের জানা, অনেক জানিনা! এই জানার আগ্রহ থেকেই - ধারাবাহিক ভাবে জাতীয় ফুল নিয়ে লিখার শুরু! এবং এখান থেকে সামনে এগুনোর ইচ্ছা! আসুন- আ দিয়ে শুরু করি!

 

প্রথমেই আসে আফগানিস্তানের নাম। এদেশের জাতীয় ফুলের নাম কি?
তার আগে একটু ভূমিকা:

 

“দুই গাড়ি গম, চার গাড়ি রাই (এক ধরনের দানা শস্য), চারটে মোটা তাজা ষাঁড়, আটটা মোটা তাজা শুকর, ১২টি মোটা তাজা ভেড়া, দুই পাত্র মদ, চার ব্যারেল বিয়ার, দুই ব্যারেল মাখন, ১০০০ পাউন্ড (প্রায় ৪৫৪ কেজি!) পনীর, একটা পূর্ণ বিছানা, এক প্রস্থ পোশাক ও একটা রৌপ্য পাত্র”!

 

এর দাম এখনকার বাজারে কত হবে? কেউ এই পরিমাণ টাকা দিয়ে যদি একটা ফুলের বাল্ব বা কন্দ কেনে, তাকে কি বলবেন আপনি!

 

জী! এটা শুধু একটা ভাইসরয় টিউলিপ বাল্ব এর বিনিময় মূল্য ছিল হল্যান্ডে ১৬৩০ এর দশকে! ইতিহাসে এর চেয়ে বেশী দাম দিয়ে কেউ একটা ফুলের কন্দ কেনেনি!! এছাড়াও সেম্পার অগাস্টাস জাতের একটা বাল্ব এর দ্বিগুন দামে বিক্রি হয়েছিল বলে রেকর্ড রয়েছে!

 

 

আফগানিস্তানের ‘পপি বিশ্ব জোড়া বদনাম এনে দিলেও তাদের জাতীয় ফুল হচ্ছে এই অনিন্দ্য সুন্দর ফুল। টিউলিপ! লিলিয়েসি পরিবারের অনেক সৌন্দর্যময় ফুলের মধ্যে, ফুলের রানী বলতে হয়  টিউলিপকে! ডিভিশন, MAGNOLIOPHYA পরিবার  LILIACEAE, GENUS – Tulipa!

 

আজকাল অবশ্য টিউলিপ বলতেই হল্যান্ড বা নেদারল্যান্ডসের দিগন্ত জোড়া বিশাল বাগানের অসীম সৌন্দর্য চোখের সামনে ভেসে উঠে! গোলাপ আর চন্দ্রমল্লিকার পর, সৌন্দর্যপিপাসুদের জনপ্রিয়তার তালিকার তৃতীয় শীর্ষস্থানে এই পুস্পরানী! কিন্তু হল্যান্ড এই সৌন্দর্য ধার করেছে তুরস্কের উসমানী সালতানাত থেকে, অন্ততঃ এর শুরুতে!

 

টিউলিপের চাষ সম্ভবতঃ ১০ শতকের দিকে। পারস্যের মহাকবি ওমর খৈয়াম এবং জালাল উদ্দিন রুমী এই ফুলের উল্লেখ করেছেন! ত্রয়োদশ শতকের পারস্য গীতিকাব্যে এর উল্লেখ আছে! শেখ সাদী’র ‘গুলিস্তাঁয়, বেহেশতের উদ্যানের বর্ণনায় উঠে এসেছে ‘সুশীতল শান্তিদায়ী ঝর্ণা আর মৃদুমন্দ হিল্লোল, পাখীর কাকলী- ‘ফলভারানত বৃক্ষ’, পুস্প তরু ছায়া আচ্ছাদিত উদ্যানে উজ্জল রঙের বর্ণাঢ্য ‘টিউলিপ’ আর সুগন্ধি গোলাপ!

 

তবে ইউরোপে এই সৌন্দর্যের রানী প্রথম বিস্তারলাভ করেছে তুর্কীর মুসলিম সুলতানদের পৃষ্টপোষকতায় । মুসলিমদের জন্য পাগড়ি এক মর্যাদার প্রতীক (পাগড়ি মাথায় ২ রাকাত নামাজ, পাগড়ি ছাড়া ৭০ রাকাত নামাজ পড়ার চাইতে উত্তম; আল হাদিস)। এই পাগড়িকে ইংলিশে বলে Turban! তুর্কী ভাষায় মূল শব্দটি Dulband! or dulpand ! সম্ভবতঃ তুর্কী ভাষা থেকেই অনুদিত হয়েছে- Turban! Tulip নামটা এসেছে এই Turban থেকেই! বাংলায় যেমন হস্ত- হত্ত থেকে হাত, হয়তো তেমনি তুর্কী ভাষায় তা Dulband বা dulpand হয়ে tulipan এবং সেখান থেকে Tulip এ এসে দাঁড়িয়েছে!

 

আরও একটা সাদৃশ্য রয়েছে! ভাল করে টিউলিপ ফুলের দিকে তাকিয়ে দেখুন, পাশ থেকে টিউলিপ ফুলের দলমন্ডলের যে প্যাঁচানো বিন্যাস- দেখা যায়, একটু কল্পনা প্রবণ হলে দেখতে পাবেন এ যেন একজন পাগড়ি পরিহিত মানুষের মাথা! এভাবেই মুসলিম সংস্কৃতির পাগড়ির সাথে তথা ইসলামের সাথে ইউরোপে- টিউলিপের নাম জড়িয়ে গেছে!

 

উসমানী সুলতানরাই সর্ব প্রথম ইউরোপে এর চাষ এবং সংকরায়নের মাধ্যমে এর উৎকর্ষ সাধন করেছেন । ১৫৫০ এর দশকে তুরস্ক থেকে হল্যান্ডে এবং অস্ট্রিয়ার রাজকীয় বাগানে টিউলিপ পৌঁছে যায়! তুরস্কে নিযুক্ত তৎকালীন অস্ট্রিয়ার উজির (Ogier Ghislain de Busbecq, Fardinad-ও এর রাষ্ট্রদূত ছিলেন, এখনকার ভাষায়- অ্যামব্যাসেডর ) তার ‘চিঠিতে অস্ট্রিয়ার সম্রাটকে লিখেছেন।

 

‘আমরা যখন পাশ দিয়ে যাই (তুরস্কের সুলতানের বাগান গুলোর পাশ দিয়ে), দেখি, সর্বত্র অজস্র ফুলের সমাহার - নারসিসাস বা হায়াসিন্থ ফুলের মত; তুর্কীরা তাদের বলে tulipan, ঋতু বৈচিত্রকে চমক লাগিয়ে দিয়ে, কারণ তা মধ্য শীত এবং তা কোন পুস্প বান্ধব আবহাওয়া নয়;---! এই tulipan গুলো, খুব কম সুবাসযুক্ত, বা গন্ধহীন , কিন্তু এর সৌন্দর্য এবং চমৎকার বর্ণ বিচিত্রতা- প্রশংসনীয়।

 

এখন অব্দি প্রায় ১৪টি টিউলিপের আদি জাত কেবলমাত্র তুরস্কেই পাওয়া যায়! ১৫৭৩ সালে সে সময়ের খ্যাতিমান এক উদ্ভিদবিদ ক্যারোলাস ক্লুসিয়াস অস্ট্রিয়ার ইম্পেরিয়াল বোটানিক্যাল গার্ডেনে একে ‘ঐতিহাসিক ভাবে স্থান করে দেন! এবং সেখান থেকে Leiden University Gi Hortus Botanicus এ ক্লুসিয়াস ( তিনি এখানে ডিরেক্টর ছিলেন) এর চাষ করেন! এগুলো এখন ইতিহাস!

 

তুরস্কের রেকর্ড পত্রে দেখা যায়, ১৫৭৪ সালে তুর্কীর সুলতান সেলিম-২ সিরিয়ার আজাজ এর এক কাজীকে টিউলিপের ৫০,০০০ কন্দ (Bulb) পাঠাতে লেখেন। উসমানীয় সুলতানদের এই পুস্পপ্রীতি সহজেই অনুমেয়! ১৫১৫ সালে আফগানিস্তানের হেরাত শহরের এক পন্ডিত কাসিম সাহেব উল্লেখ করেছেন, বাগানে লালিত এবং বুনো এই দুই জাতের টিউলিপের (লালে) কথা ! তারও আগে ১৪৯৫ সালে চুগতাই টার্কিশে (মুঘল সম্রাটদের ভাষা) - হুসাইন বায়কার’র লেখা এবং মুঘল সম্রাট বাবরের আত্মজীবনী বাবরনামায় ‘লালে- বা টিউলিপের উল্লেখ রয়েছে!

 

মুঘল সম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা এই মহাত্মন শুধু নূতন রাজ্য প্রতিষ্ঠা নয়, নয়নাভিরাম উদ্যান, সুন্দর ভবন/স্থাপত্য, কাব্য/কবিতা চর্চা- ইত্যাদি ক্ষেত্রেও অগ্রদূত ছিলেন! সুকুমার বৃত্তির পৃষ্টপোষকতায় সে যুগে তার সাথে তুলনা করা যায় এমন বাদশা খুব বেশী ছিল না! ফুল ও বৃক্ষের প্রতি ছিল তার সীমাহীন আগ্রহ! তিনিই প্রথমে তরমুজ এবং আঙ্গুরকে ভারত উপমহাদেশে নিয়ে আসেন এবং এদেশে এর চাষ শুরু করান! ধারণা করা হয়- বাবর হয়তো টিউলিপকেও এদেশের মাটিতে প্রথম অনুপ্রবেশ করিয়েছিলেন! আর গোলাপ তো পারস্য থেকে ফারসি মুসলিমদের হাত ধরেই ভারতে আসে ।

 

স্পেনের তৎকালীন মুসলিম অঞ্চলে- আল আন্দালুসে এর চাষ হত। তুরস্ক থেকে অস্ট্রিয়া ও নেদারল্যান্ডসে এই ফুলের আগমন সম্বন্ধে সবাই জানে! তুরস্ক থেকে ১৫৭৩ সালে অস্ট্রিয়ায় সম্রাটের বাগানে প্রথম এর সুত্রপাত, ১৫৯৪ সালে নেদারল্যান্ডসে প্রথম টিউলিপ ফুটে বলে ধরা হয়! এর পর শুরু হয় ‘টিউলিপ ম্যানিয়া! একে পাগলামী বললেও কম বলা হয়!

 

টিউলিপের ‘বাণিজ্য অত্যন্ত সমৃদ্ধ করেছে নেদারল্যান্ডসসহ কিছু দেশকে! বর্তমান পৃথিবীর সুন্দরতম ফুলগুলোর মধ্যে অন্যতম এই ফুলটি- শুধু বর্ণ আর আকার বৈচিত্র দিয়েই আমাদের মুগ্ধ করেছে তাই নয়, এর ডাঁটা এবং দল মঞ্জরী বেশ পুরু ও শক্ত বিধায়- এক্সপোর্টের ধকল কুলোতে পারে! এজন্য বহু দেশে এর রপ্তানি চলছে! হল্যান্ডের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের বড় একটা অংশ আসে ফুল রপ্তানি থেকে!

 

টিউলিপ প্রতিনিধিত্ব করে স্বপ্নচারি, কল্পনাপ্রিয়তা, প্রেমের বহিঃপ্রকাশ এবং প্রকৃত প্রেমিক-প্রেমিকা ! টিউলিপের রেজিস্টার্ড জাতের সংখ্যা তিন হাজারের উপরে! মার্চ থেকে এপ্রিলে এদের ‘পিক টাইম! তবে মে জুন পর্যন্ত টিকে থাকে এমন সংকরায়িত জাতও রয়েছে!

 

পেঁয়াজ শেষ হয়ে গেছে! টিউলিপের বাল্ব এর সুন্দর বিকল্প হতে পারে, বলেছেন ভোক্তাদের একজন! পুস্পপ্রেমীদের মনে আঘাত লাগলেও এটা নির্জলা সত্য যে, পাকস্থলীর চাহিদার আগে সৌন্দর্য চর্চা স্থান পায় না; সুকান্তের ভাষায় ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূর্ণিমার চাঁদ যেন--!




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/হাসনাত/নওশের

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়