ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

‘যুদ্ধটি ছিল দীর্ঘ, জটিল ও ভয়াবহ এবং ব্যর্থ’

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৫২, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১   আপডেট: ১২:৫৪, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১
‘যুদ্ধটি ছিল দীর্ঘ, জটিল ও ভয়াবহ এবং ব্যর্থ’

যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার ২০তম বার্ষিকী আজ। ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের উপর আল কায়েদার একইসাথে চারটি সমন্বিত সন্ত্রাসী হামলা করে। 

এই হামলায় ২,৯৯৭ জন নিহত, ৬,০০০ এর অধিক মানুষ আহত হয় । নিহতের মধ্যে ১২ জন বাংলাদেশিও ছিলেন । হামলায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অধিক অবকাঠামো ও সম্পদ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। 

আরো পড়ুন:

২০ বছর পরও নাইন-ইলেভেনের (৯/১১) ক্ষত সারেনি। হামলার ২০ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর অনেকেরই মনে হতে পারে ধীরে ধীরে ম্লান হয়ে যাবে স্মৃতি কিন্তু ২০০১ সালে সেই মঙ্গলবারের প্রত্যক্ষ পরিণতি এখনও প্রতিদিন আমাদের সামনে খবরের শিরোনাম।

৯/১১ নামে খ্যাত ওই হামলার বিপরীতে সন্ত্রাস বা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। সন্দেহের আওতায় থাকা জঙ্গি সংগঠন আল কায়দার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ চালাতে গিয়ে ২০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১-এর সন্ত্রাসী হামলার ২০ বছর পূর্তির আগে প্রকাশিত এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। এক দশকেরও বেশি সময় আগে প্রতিষ্ঠিত কস্টস অব ওয়ার প্রজেক্টে সম্পৃক্ত ছিল ওয়াটসন ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্স।  ১ সেপ্টেম্বর ওয়াটসন ইনস্টিটিউট আয়োজিত এক ইভেন্টে অধ্যাপক ক্যাথরিন বলেন, ‘যুদ্ধটি ছিল দীর্ঘ, জটিল ও ভয়াবহ এবং ব্যর্থ। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যুদ্ধ ব্যর্থ হয়েছে এবং ৮০টিরও বেশি দেশে যুদ্ধ এখনো অব্যাহত রয়েছে।’

২০ বছর আগে এই হামলার ঘটনা নিয়ে সরাসরি যারা রিপোর্টিং করেছিলেন তাদের নিয়ে ওয়াশিংটন পোষ্ট এক আলোচনার আয়োজন করে। 
ওয়াশিংটন পোস্ট এর নিউজরুমে এই আলোচনা চলে।  সিনিয়র এডিটর থেকে, পেন্টাগনের রিপোর্টার থেকে ইন্টার্ন পর্যন্ত যারা এই ঘটনাকে কভার করেছিলেন তারা তাদের সেদিনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার বর্ণনা তুলে ধরেন। 

২০০১ সালের ওই ভয়াবহ বিমান হামলার পর থেকে প্রতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বর হতাহতদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে যুক্তরাষ্ট্র। দিনটিকে ঘিরে জাতীয়ভাবে নানা আয়োজন হয়ে থাকে। যারা সেদিন নিহত হলেন, তাদের প্রত্যেকের নাম স্মরণীয় হয়ে আছে বিধ্বস্ত টুইন টাওয়ারের স্থলে নির্মিত স্মৃতিসৌধে।

ঢাকা/সারা/এমএম

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়