ঢাকা     রোববার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৬ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ৪৫ ডিগ্রি নীচে, তুষারঝড়ে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডায় মৃত্যু বেড়ে ৩৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২২   আপডেট: ১২:২৭, ২৬ ডিসেম্বর ২০২২
তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ৪৫ ডিগ্রি নীচে, তুষারঝড়ে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডায় মৃত্যু বেড়ে ৩৮

প্রবল ঠান্ডায় বিপর্যস্ত আমেরিকা। ছবি: রয়টার্স

তুষারঝড়ে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডায় এ পর্যন্ত প্রাণহানি ঘটেছে ৩৮ জনের।

সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) বিবিসি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেছেন, উত্তর আমেরিকাজুড়ে তুষারঝড়ের কবলে পড়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৩৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এর আগে গত শনিবার পর্যন্ত ১৯ জনের প্রাণহানির কথা জানিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন। ঝড়ের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নিউইয়র্ক রাজ্যের বাফেলো শহর।

আরো পড়ুন:

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, হাজার হাজার মানুষ দুর্যোগের সময় বিদ্যুৎহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। কোথাও ৮ ফুট, কোথাও বা ১০ ফুট পুরু বরফের আস্তরণ জমে গেছে রাস্তাঘাটে। আমেরিকার এই ভয়ঙ্কর তুষারঝড়কে বলা হচ্ছে ‘সাইক্লোন বম্ব’। এর ফলে দেশের নানা প্রান্তে হিমাঙ্কের ৪০ থেকে ৪৫ ডিগ্রি নীচে নেমে গেছে তাপমাত্রা। ঠান্ডায় প্রায় জমে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রাস্তাঘাটের অবস্থা এমন যে, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও দুর্যোগ কবলিতদের উদ্ধারে বাধা পাচ্ছে।

তুষারঝড়ের মাঝে বড়দিনে নাগরিকদের ঘরের বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যতটা সম্ভব বাড়ির ভেতরেই থাকতে বলা হয়েছে সবাইকে। খুব জরুরি দরকার না হলে কেউ রাস্তায় বেরোচ্ছেন না।


তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরাঞ্চল

নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোচুল রোববার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, বাফেলোতে আট ফুট (২.৪ মিটার) তুষারপাত হয়েছে। এতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট জনজীবনকে হুমকির মুখে ফেলেছে। খুব বিপজ্জনক জীবন-হুমকিপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে বাফেলোর বাসিন্দারা। এলাকার যে কাউকে বাড়ি থেকে বের না হতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই ঝড়ের ভয়াবহতা ১৯৭৭ সালের তুষারঝড়কেও অতিক্রম করেছে, যা ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাফেলোতে তুষারঝড়ে গাড়ির ভেতরে আটকা পড়ে মারা গেছেন কয়েকজন। তুষারআবৃত রাস্তা থেকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে কয়েকজনকে। বাফেলো ছাড়াও ভেরমন্ট, ওহাইও, মিসৌরি, উইসকনসিন, কানসাস এবং কলোরাডোতে ঠান্ডা ও ঝড়ে মানুষ মারা যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

/সাইফ/

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়