রাখাইনে হাসপাতালে ভয়াবহ বোমা হামলা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম
![রাখাইনে হাসপাতালে ভয়াবহ বোমা হামলা রাখাইনে হাসপাতালে ভয়াবহ বোমা হামলা](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2024February/Rakhine-2402220611.jpg)
মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন প্রদেশের একটি হাসপাতালে ভয়াবহ বোমা হামলা চালিয়েছে জান্তা বাহিনী। দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) বরাত দিয়ে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতী।
আরাকান আর্মির দাবি, মিয়ানমার জান্তা ‘সবচেয়ে বিধ্বংসী বোমা’ দিয়ে হাসপাতালে হামলা করেছে।
আরাকান আর্মি বলেছে, জান্তার সামরিক বাহিনী রাখাইন রাজ্যের উপকূলীয় শহর রামরিতে আরও শক্তিশালী ও ধ্বংসাত্মক বোমা ফেলতে শুরু করেছে।
তারা আরও বলেছে, মঙ্গলবার বিকেলে জান্তা বাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলো মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় এই প্রদেশের শহর এবং এর আশপাশের অঞ্চলগুলোতে শক্তিশালী বোমা ফেলে। এতে সেখানকার একটি সরকারি হাসপাতাল এবং শহরের মায়োমা বাজার ধ্বংস হয়ে যায়। এছাড়া বিমান হামলায় বহু ঘর-বাড়িও ধ্বংস হয়ে গেছে।
সশস্ত্র এই গোষ্ঠীটি বলেছে, জান্তা বাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলো গত মঙ্গলবার ৫০০-পাউন্ড এবং অন্যান্য বোমা ফেলেছে। এসব বোমা পূর্বে ব্যবহৃত বোমাগুলোর চেয়ে বেশি ধ্বংসাত্মক ছিল। এছাড়া মঙ্গলবার সকালে শহরের ইন টাং ওয়ার্ডে জান্তা বাহিনীর তিনটি বিমান হামলায় বৌদ্ধ নানদের একটি কনভেন্টও ধ্বংস হয়ে গেছে।
গত বছরের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে রামরি শহরে আরাকান আর্মি এবং জান্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এর আগে আরাকান আর্মির সৈন্যরা শহরের দক্ষিণে অং চ্যান থার পাহাড়ের চূড়ার প্যাগোডায় অবস্থানরত সরকারি বাহিনীর সাথেও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। তারপর থেকে জান্তা বাহিনী এই শহরটিতে ঘন ঘন আকাশ, সমুদ্র এবং স্থল পথে বোমাবর্ষণ করে চলেছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবরের শেষের দিক থেকে মিয়ানমারের বিভিন্ন প্রদেশে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণ শুরু করে জান্তাবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর জোট পিপলস ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স (পিডিএফ)। পিডিএফভুক্ত তিন গোষ্ঠী ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএ), আরাকান আর্মি (এএ) এবং তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (টিএনএলএ) এই সংঘাতে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এই তিন গোষ্ঠী একত্রে থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স নামেও পরিচিত।
জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে পিডিএফ সমন্বিত আক্রমণে চালিয়ে ইতিমধ্যে শত শত জান্তা ঘাঁটি ও চৌকির পাশাপাশি ২০টি শহর দখল করে নিয়েছে।
আরাকান আর্মি (এএ) রাখাইন রাজ্যের অবশিষ্ট সামরিক ঘাঁটিগুলোতে জান্তা বাহিনীকে আত্মসমর্পণ করার আহ্বান জানিয়েছে।
জানা গেছে, জান্তা বাহিনী রাখাইনের রাজধানী সিত্তওয়ে শহরে প্রবেশের সব পথ বন্ধ করে দিয়েছে, যেখানে আরাকান আর্মি হামলা করতে প্রস্তুত। রাখাইন মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, সিত্তওয়ে শহরে প্রবেশের একমাত্র উপায় হলো ফ্লাইট। জান্তা বাহিনী বিমানবন্দরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। ইয়াঙ্গুন থেকে সিত্তওয়েতে আসা ৬০০ যাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
/ফিরোজ/
আরো পড়ুন