ঢাকা     সোমবার   ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ১ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ফারাক্কা চুক্তির নবায়নকে বাংলা ‘বিক্রি করার পরিকল্পনা’ বললো পশ্চিমবঙ্গ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৪১, ২৩ জুন ২০২৪   আপডেট: ২৩:০০, ২৩ জুন ২০২৪
ফারাক্কা চুক্তির নবায়নকে বাংলা ‘বিক্রি করার পরিকল্পনা’ বললো পশ্চিমবঙ্গ

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরে ফারাক্কা চুক্তির নবায়ন হয়েছে শনিবার। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা নিয়ে আপত্তি তুলেছে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল। দলটির অভিযোগ, রাজ্য সরকারকে এড়িয়ে নবায়ন করা হয়েছে। তৃণমূল এই চুক্তি নবায়নকে বাংলা ‘বিক্রি করার পরিকল্পনা’ হিসেবেও বর্ণনা করা হয়েছে। 

তৃণমূলের বক্তব্য, ‘ফারাক্কা-গঙ্গা চুক্তিতে রাজ্য সরকারও পক্ষ। কিন্তু নবীকরণের বিষয়ে রাজ্য সরকারকে কিছুই জানানো হয়নি। যা অত্যন্ত খারাপ।’ পাশাপাশিই বলা হয়েছে, এই চুক্তি বাবদ রাজ্য সরকারের যে পাওনা টাকা, তা-ও বকেয়া রয়েছে। গঙ্গার ড্রেজ়িংয়ের কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে, যা বাংলায় বন্যা এবং ভাঙনের প্রাথমিক কারণ হয়ে উঠেছে।

তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেছেন, আগের চুক্তি অনুযায়ী রাজ্য়ের পাওনা টাকাও রাজ্যকে দেয়নি কেন্দ্র, সেই সঙ্গে গঙ্গায় থেকে পলি তোলার কাজও বন্ধ রয়েছে, যা বন্যা এবং ভাঙনের প্রাথমিক কারণ। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপকে ‘বাংলাকে বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা’ বলে অভিহিত করেছেন ডেরেক।

১৯৯৬ সালে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে গঙ্গার পানি নিয়ে চুক্তি হয়েছিল। তাতে একাধিক রাজ্য সরকারও শরিক। যে চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৬ সালে। সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তৃণমূল বলছে, ২০১৭ সালে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও ফরাক্কার বাঁধের বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, বেড়িবাঁধ দিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

তৃণমূলের পক্ষে খানিকটা হুঁশিয়ারির সুরেই তিস্তা জলবণ্টন চুক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, সংবিধান অনুযায়ী অন্য দেশের সঙ্গে কোনও বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত করার অধিকার কেন্দ্রের রয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রকে এটাও বুঝতে হবে, রাজ্য সরকার সহযোগিতা না করলে তিস্তা জলবণ্টনের মতো চুক্তি থমকে থাকে। তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থানের পর কেন্দ্রও সম্মত হয়েছে, বাংলাকে এড়িয়ে গিয়ে তারা কিছু করবে না। 

সূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন

ঢাকা/শাহেদ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়