যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনে ভারত-পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের যে অভিযোগ করেছেন, তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিবিসি লিখেছে, মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, “আজ যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তার প্রতি পাকিস্তান আন্তরিকভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ “
“কিছু এলাকায় ভারতের লঙ্ঘন সত্ত্বেও আমাদের সশস্ত্র বাহিনী দায়িত্বশীলতা ও সংযমের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে,” বলেন তিনি।
ওই মুখপাত্র বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, যুদ্ধবিরতির সুচারু বাস্তবায়নে যেকোনো জটিলতা নিরসন করা উচিত যথাযথ স্তরে যোগাযোগের মাধ্যমে।
“মাঠে থাকা সেনাদেরও সংযম প্রদর্শন করা উচিত।”
জনগণ, সামরিক বাহিনী ও বিদেশি বন্ধুদের প্রশংসায় শাহবাজ
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ শনিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন, যা পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর প্রচারিত হয়। এই ভাষণে তিনি উত্তেজনা প্রশমনে সহায়তা করার জন্য পাকিস্তানের জনগণ, সশস্ত্র বাহিনী, রাজনৈতিক নেতা এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ভারতের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পর শনিবার রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
চীনের অবিচল সমর্থনের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করে শাহবাজ শরিফ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, তার সরকার ও চীনা জনগণকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, “চীন কখনো লাভ বা ক্ষতির হিসাব না করে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে। ৭৮ বছর ধরে তারা আমাদের প্রকৃত বন্ধু এবং আমরা এই সহযোগিতা চিরদিন মনে রাখব।”
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নিশ্চিত করেন যে, ২৩০ মিলিয়ন পাকিস্তানির স্বার্থে পাকিস্তান শান্তি উদ্যোগে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।
এর আগে, ২২ এপ্রিল ভারতীয় অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে এক হামলায় ২৬ জন নিহত হন। ওই ঘটনার পর দুই দেশের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা বেড়ে যায়। ভারত হামলার জন্য পাকিস্তানভিত্তিক গোষ্ঠীগুলোর ওপর দায় চাপায়, তবে ইসলামাবাদ সে অভিযোগ স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করে।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, “একটি আন্তরিক ও গঠনমূলক ভূমিকা পালনের জন্য আমি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।”
তিনি সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, কুয়েত, যুক্তরাজ্য, জাতিসংঘের মহাসচিব এবং ‘অন্যান্য মিত্র দেশগুলোর’ অবদানকেও স্বীকৃতি দেন, যারা কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় যুক্ত ছিলেন।
শাহবাজ শরিফ বলেন, “আমার ভাই যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান, আমার ভাই শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ, আমার প্রিয় ভাই কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ এবং আমার প্রিয় ভাই প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ান— তারা আমাদের এই কঠিন সময়ে সাহস ও আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছেন। আমি হৃদয়ের গভীরতা থেকে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।”
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধবিরতি’ লঙ্ঘনের অভিযোগ ভারতের
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে বলেছেন, “গত কয়েক ঘণ্টা ধরে আমরা যে সমঝোতায় পৌঁছেছিলাম, তা একাধিকবার লঙ্ঘন হয়েছে।”
“আজ (শনিবার) সন্ধ্যায় যে বোঝাপড়া হয়েছিল, এটি তার সরাসরি লঙ্ঘন।”
নয়াদিল্রিতে সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে মিশ্রি জানান, ভারতের সশস্ত্র বাহিনী ‘উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে’।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। ফাইল ছবি
মিশ্রি তার বক্তব্য শেষ করেন এভাবে, “আমি পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানাই, যেন তারা এই লঙ্ঘনগুলোর সমাধান করে।”
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত মিশ্রি বক্তব্য সম্পর্কে কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি।
‘যুদ্ধবিরতির’ পর কাশ্মীরের শ্রীনগরে ‘বিস্ফোরণের শব্দ’
“আমরা এখন ভারতের নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শ্রীনগর শহর থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাচ্ছি।”
এই তথ্য দিচ্ছে বিবিসির টিম, যারা ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের খবর নিয়ে কাজ করছেন। কাশ্মীরে অবস্থান করা বিবিসি টিম ফিল্ড রিপোর্টিং করছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এক টুইটে জানিয়েছেন, “শ্রীনগরজুড়ে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে।”
শহরে থাকা বিবিসির সাংবাদিকরাও এই ধরনের শব্দ শোনার কথা নিশ্চিত করেছেন। তবে এখনো স্পষ্ট নয় যে, বিস্ফোরণগুলো কোথা থেকে আসছে এবং ভারত কিংবা পাকিস্তান– কেউই এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
যুদ্ধবিরতিতে ট্রাম্পের ‘সক্রিয় ভূমিকার’ প্রশংসা শাহবাজের
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টা পর এখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বক্তব্য দিচ্ছেন। এটি এই ইস্যুতে তার প্রথম মন্তব্য।
শাহবাজ শরিফ তার বক্তব্যের শুরুতেই ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মার্কিন প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “তারা এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন, তা প্রশংসার যোগ্য।”
তিনি আরো বলেন, “আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে আমরা যে ফলাফলে পৌঁছেছি, সেটি বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কৃতজ্ঞ।”
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। ফাইল ছবি
শাহবাজ শরিফ পরে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকেও ব্যক্তিগতভাবে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, “দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাদের ‘মূল্যবান অবদান’ স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
“পাকিস্তানের বিশ্বাস, এটি (যুদ্ধবিরতি) একটি নতুন সূচনার নির্দেশ করছে; একটি নতুন দ্বার খুলে দিয়েছে। এর মাধ্যমে এমন সব সমস্যা সমাধানের পথে, যা দীর্ঘদিন ধরে এই অঞ্চলকে জর্জরিত করেছে এবং শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার পথে অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করেছে,” বলেন শাহবাজ।
চার দিনের সংঘাতের পর যুদ্ধবিরতির বার্তা, যা হলো, যা হচ্ছে
দীর্ঘ ৫৫ বছর পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চার দিনের তীব্র সামরিক সংঘাতের পর নাটকীয়ভাবে যুদ্ধবিরতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ।
এই সামরিক সংঘাতে উভয় দেশে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে দেশ দুটির দাবি করা তথ্যের সত্য-মিথ্যা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। কারণ, প্রতিপক্ষের বেশি ক্ষতি হয়েছে- এমনটি দেখাতে ব্যস্ত থেকেছে দুই দেশের সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা ও তাদের দেশীয় গণমাধ্যম।
দুই দেশই একে অপরকে আক্রমণের জন্য দায়ী করেছে। সামরিক ঘাঁটিসহ বেশ কিছু বেসামরিক স্থানেও ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এবং আর্টিলারি গোলাবর্ষণ চালিয়েছে তারা।
আন্তর্জাতিক মহল বিশেষ করে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও চীন সংঘাত নিরসনের আহ্বান জানায়। তবে সেই আহ্বান শুরুতে গুরুত্ব পায়নি।
যুদ্ধবিরতির জন্য যুক্তরাজ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে: দার
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির জন্য যুক্তরাজ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। শনিবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জিওটিভিকে বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই ‘সরাসরি যোগাযোগ’ করেছে এবং ‘ফলস্বরূপ একটি যৌথ চুক্তিতে পৌঁছেছে।’
দার জানান, অন্যান্য দেশও একটি সমাধান খুঁজে বের করার কাজে জড়িত ছিল - ‘বিশেষ করে যুক্তরাজ্য।’
তিনি বলেন, “যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি এই প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।”
শান্তি উদ্যোগ ও যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা
মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব মার্কো রুবিও এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স গত ৪৮ ঘণ্টায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার আলাপ-আলোচনা করেছেন।
তাদের মধ্যস্থতায় দুই দেশ সম্মত হয়েছে তাৎক্ষণিক ও পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে।
আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ বেছে নেওয়ায় রুবিও দুই নেতার ‘প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা ও রাষ্ট্রনায়কসুলভ মানসিকতার’ প্রশংসা করেছেন।
যুদ্ধবিরতির বিস্তারিত
শনিবার বিকাল ৫টা (স্থানীয় সময়) থেকে স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে সব ধরনের অস্ত্র ব্যবহার বন্ধ হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মহাপরিচালক সরাসরি ফোনে আলোচনা করেছেন।
পরবর্তী সংলাপের দিন ঠিক হয়েছে ১২ মে, যা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
আকাশসীমা পুনরায় খোলা
পাকিস্তান বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে, দেশের সমস্ত বিমানবন্দর ও আকাশসীমা এখন থেকে স্বাভাবিকভাবে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য উন্মুক্ত।
এর ফলে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলে স্বস্তি ফিরেছে এবং বাণিজ্যিক যোগাযোগ স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর বক্তব্য
যুদ্ধবিরতির ঘোষণা পর ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে নয়াদিল্লিতে প্রথমবারের মতো ব্রিফ করা হয়েছে। যুদ্ধ শুরুর জন্য তারা পাকিস্তানকে দায়ী করেছেন। তবে যুদ্ধবিরতি মেনে চলার কথা বলেছেন তারা। অবশ্য সঙ্গে এ-ও বলেছেন, পাকিস্তানের যেকোনো আক্রমণ ঠেকাতে এবং জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে ভারতীয় সামিরক বাহিনী।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের শনিবার রাতেই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার কথা। তিনি যুদ্ধবিরতির প্রেক্ষাপট ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সামনে কী অপেক্ষা করছে?
যদিও যুদ্ধবিরতি একটি বড় অগ্রগতি, তবে এখনো সব কিছু নিষ্পত্তি হয়নি।
এখন যেসব বিষয় আলোচনায় গুরুত্ব পাবে, তার মধ্যে রয়েছে- কাশ্মীর পরিস্থিতি, সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা, বাণিজ্য সম্পর্ক পুনরুদ্ধার এবং পানিবণ্টন সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব নিরসন।
সব ফ্লাইটের জন্য আকাশপথ উন্মুক্ত করা হয়েছে: পাকিস্তান
পাকিস্তান বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ (এপিএ) জানিয়েছে, পাকিস্তানের আকাশসীমা এখন সব ধরনের ফ্লাইটের জন্য সম্পূর্ণভাবে পুনরায় চালু করা হয়েছে।
এপিএর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশের সকল বিমানবন্দর স্বাভাবিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য উন্মুক্ত।
বিকাল ৫টা থেকে জল-স্থল-আকাশপথে হামলা বন্ধ: মিশ্রি
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেছেন, শনিবার বিকাল ৫টা থেকে জল-স্থল ও আকাশপথে সব হামলা বন্ধ রাখাতে সম্মত হয়েছে উভয় দেশ।
বিক্রম মিশ্রি বলেছেন, পাকিস্তানের মিলিটারি অপরারেশনের মহাপরিচালক শনিবার বিকালে ভারতীয় অপারেশেনের প্রধানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। কথোপথনে দুই পক্ষই সম্মত হয়েছে যে, স্থল, আকাশ এবং সমুদ্রপথে সব ধরনের গুলি বিনিময়, হামলা স্থানীয় সময় বিকাল ৫টা থেকে বন্ধ থাকবে।
উভয় পক্ষ আগামী ১২ মে আবার কথা বলবে, যোগ করেন বিক্রম মিশ্রি।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি।
নিরপেক্ষ স্থানে বসছে ভারত-পাকিস্তান: রুবিও
ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি সম্মত হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করার পর মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব মার্কো রুবিও বলেছেন, “একটি নিরপেক্ষ স্থানে বিস্তৃত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে তারা।”
এক্স-এ (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে রুবিও বলেছেন, “আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং শরিফের প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা এবং রাষ্ট্রনায়কসুলভ মনোভাবের প্রশংসা করি, যারা শান্তির পথ বেছে নিয়েছেন।”
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। ফাইল ছবি
রুবিও আরো বলেন, তিনি ও জেডি ভ্যান্স (ভাইস প্রেসিডেন্ট) গত ৪৮ ঘণ্টা ভারত ও পাকিস্তানের সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে,এমন কী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং শাহবাজ শরিফের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন।
ঢাকা/রাসেল
