ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৩ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ইসরায়েলের ‘গোপন পারমাণবিক স্থাপনায়’ হামলার হুঁশিয়ারি ইরানের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৫৪, ১০ জুন ২০২৫   আপডেট: ১৫:৩৮, ১০ জুন ২০২৫
ইসরায়েলের ‘গোপন পারমাণবিক স্থাপনায়’ হামলার হুঁশিয়ারি ইরানের

ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, যদি ইরান ভবিষ্যতে ইসরায়েলি আক্রমণের শিকার হয়, তাহলে দেশের সশস্ত্র বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে ইসরায়েলের ‘গোপন পারমাণবিক স্থাপনায়’ হামলা চালাবে। 

সম্প্রতি ইসরায়েলের স্পর্শকাতর পারমাণবিক তথ্য পাওয়ার দাবি করে ইরান। এরপরপরই সোমবার (৯ জুন) দেশটির সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল (এসএনএসসি) এক বিবৃতিতে ইসরায়েলকে সতর্ক করে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছে। 

আরো পড়ুন:

মঙ্গলবার (১০ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়া।

ইরানের গোয়েন্দামন্ত্রী ইসমাইল খাতিব রবিবার (৮ জুন) দাবি করেন, ইরান গোয়েন্দা অভিযানের মাধ্যমে ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ, স্পর্শকাতর কয়েক হাজার নথি হাতে পেয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে পারমাণবিক অবকাঠামোর তথ্য ও পরিকল্পনার নথি।

ইসরায়েল দীর্ঘদিন থেকেই ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলার হুমকি দিয়ে আসছিল। আর এবার ইরান দাবি করলো, তারা ইসরায়েলের পারমাণবিক অবকাঠামোর নথি হাতে পেয়েছে।

সোমবার (৯ জুন) ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল (এসএনএসসি) জানায়, কয়েক মাসের গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের ফলে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী সম্ভাব্য প্রতিশোধমূলক হামলার জন্য উচ্চ-মূল্যবান ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। ইসরায়েল যদি ইরানের স্বার্থের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেয়, তাহলে প্রতিশোধমূলক হামলায় ‘গোপন সামরিক স্থাপনা’ লক্ষ্যবস্তু করবে ইরান। 

ইরানি গোয়েন্দারা ইসরায়েলের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে গোপন নথির বিশাল ভাণ্ডার নিজেদের দখলে আনতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি করেছে। গোয়েন্দাদের মতে, নথিগুলো বহুদিন আগেই সংগ্রহ করা হলেও সেগুলো নিরাপদে তেহরানে পৌঁছাতে এবং কোনো তথ্য যেন ফাঁস না হয়, সেজন্য এক দীর্ঘ সময় ধরে ছিল সম্পূর্ণ নীরবতা ও সংবাদ ব্ল্যাকআউট।

ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মতে, “গোয়েন্দাদের এই অভিযান শত্রু পক্ষের বিভ্রান্তিকর তথ্য মোকাবিলা এবং ইরানের প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করার লক্ষ্যে একটি বৃহত্তর কৌশলগত পদক্ষেপের অংশ।” 

কাউন্সিল বলছে, পারমাণবিক অবকাঠামোতে হামলার জবাবে এটি তেহরানকে ইসরায়েলের ‘গোপন পারমাণবিক স্থাপনায়’ দ্রুত পাল্টা হামলার সুবিধা দেবে।

ইসরায়েল উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী বলে বিশ্বাস করা হয়। যদিও ইসরায়েল কখনও আনুষ্ঠানিকভাবে এটি নিশ্চিত বা অস্বীকার করেনি, বরং কৌশলগত অস্পষ্টতার দীর্ঘস্থায়ী নীতি বজায় রেখেছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়