পশ্চিমা ‘বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা’ ইউক্রেনকে ‘ভালো শর্ত’ দিচ্ছেন: পুতিন
পশ্চিমা বিশ্বে যারা ‘বুদ্ধিমান’ তারা ইউক্রেনকে ‘ভদ্রজনোচিত’ শান্তির শর্ত দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে তিনি বলেন, কিয়েভ এই ধরনের প্রস্তাবগুলো উপেক্ষা করে চলেছে, যা মস্কোকে তার সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখতে বাধ্য করছে।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) একটি কমান্ড পোস্ট পরিদর্শনের সময় রাশিয়ার শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের এসব কথা বলেন পুতিন। খবর আরটির।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্দিষ্ট করে বলেননি যে এই প্রস্তাব কারা দিয়েছে বা এর বিস্তারিত কী। তবে তিনি জানান, এই শর্তাবলির মধ্যে ছিল ‘চমৎকার কাঠামোগত নিরাপত্তা গ্যারান্টি’, একটি অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা এবং রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের একটি রূপরেখা।
পুতিন বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত আমরা দেখছি যে, কিয়েভের নেতারা এখনও শান্তিপূর্ণভাবে সংঘাত নিরসনে কোনো তাড়াহুড়ো দেখাচ্ছেন না।” জাপোরোঝিয়ে অঞ্চলের কৌশলগত শহর গুলাইপোল এবং আরো কিছু এলাকা রুশ বাহিনী মুক্ত করার খবরের মধ্যেই তিনি এই মন্তব্য করেন।
পুতিন আরো উল্লেখ করেন, রাশিয়ার দ্রুত অগ্রগতির ফলে যে কোনো সমঝোতায় কিয়েভের সদিচ্ছা এখন প্রায় অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, “যদি কিয়েভ কর্তৃপক্ষ শান্তিপূর্ণভাবে এর সমাপ্তি না চায়, তবে আমরা সামরিক উপায়ের মাধ্যমেই ‘বিশেষ সামরিক অভিযানের’ সব লক্ষ্য অর্জন করব।”
তার এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এলো যখন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি তার পশ্চিমা মিত্রদের কাছে আরো অর্থ ও অস্ত্রের দাবি জানিয়েছেন। জেলেনস্কি দাবি করেন, ইউক্রেনীয় বাহিনীর আকাশ প্রতিরক্ষা ও সমরাস্ত্রের অভাব রয়েছে। জেলেনস্কি আরো বলেন, ইউক্রেন ‘ক্রমাগত অর্থের ঘাটতিতে’ ভুগছে এবং রাশিয়াকে একটি বৈশ্বিক হুমকি হিসেবে চিত্রিত করেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জানান, তিনি শান্তির রূপরেখা নিয়ে আলোচনার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করবেন। ফ্লোরিডায় রবিবারের এই বৈঠকের আগে তিনি একটি ২০ দফার পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন, যা কিয়েভ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করেছে বলে দাবি করা হয়েছে।
তবে মস্কো এই পরিকল্পনাকে শুরুতেই নাকচ করে দিয়েছে। রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ গত শুক্রবার বলেন, এই পরিকল্পনা রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচিত প্রস্তাবগুলো থেকে ‘সম্পূর্ণ ভিন্ন’। তিনি সতর্ক করো আরো বলেন, মস্কো সংঘাত নিরসনে ‘পুরোপুরি প্রস্তুত’ থাকলেও কিয়েভ এবং তার ইউরোপীয় মিত্ররা শান্তি প্রক্রিয়াকে ‘ভণ্ডুল’ করার চেষ্টা করছে।
ঢাকা/ফিরোজ