ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ফখরের অবিশ্বাস্য ইনিংসে লড়াই করে হার পাকিস্তানের

স্পোর্টস ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:২৮, ৪ এপ্রিল ২০২১   আপডেট: ১৭:৫২, ৯ এপ্রিল ২০২১
ফখরের অবিশ্বাস্য ইনিংসে লড়াই করে হার পাকিস্তানের

কুইন্টন ডি কক, তেম্বা বাভুমা, রাসি ফন ডার ডাসেন ও ডেভিড মিলারের হাফ সেঞ্চুরিতে দক্ষিণ আফ্রিকা পাকিস্তানকে ৩৪২ রানের বড় টার্গেট দেয়। জোহানেসবার্গে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে তারা তোলে ৬ উইকেটে ৩৪১ রান। জবাবে আনরিখ নর্টিয়ের পেসে হোঁচট খায় পাকিস্তান। তবে ফখর জামানের দুর্দান্ত ইনিংসে ম্যাচ জমিয়ে তোলে তারা। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ৩২৪ রানে থামে সফরকারীরা। ম্যাচটি ১৭ রানে জিতে সিরিজে ১-১ এ সমতা ফেরালো দক্ষিণ আফ্রিকা।

এইডেন মার্করাম ৩৯ রানে থামলে ভাঙে দক্ষিণ আফ্রিকার ৫৫ রানের জুটি। এর পর বাভুমা দুটি শতাধিক রানের জুটি গড়েন ডি কক ও ফন ডার ডাসেনকে নিয়ে। বাভুমার সঙ্গে ক্রিজে থেকে ১১৪ রান স্কোরবোর্ডে জমা করেন ডি কক। ৮৬ বলে ১০ চার ও ১ ছয়ে ৮০ রান করেন সাবেক অধিনায়ক।

ফন ডার ডাসেনের সঙ্গে বাভুমার জুটি ছিল ১০১ রানের। ৩৭ বলে ৬ চার ও ৪ ছয়ে ৬০ রানে ডাসেনকে বিদায় করে তাদের আলাদা করেন মোহাম্মদ হাসনাইন।

দলীয় স্কোর তিনশ পার করে দ্বিতীয় সেঞ্চুরির পথে ছুটছিলেন বাভুমা। কিন্তু প্রোটিয়া অধিনায়ককে ৮ রানের আক্ষেপে পোড়ান হারিস রউফ। ১০২ বলে ৯ চারে ৯২ রান করে পাকিস্তানি অধিনায়ক বাবর আজমকে ক্যাচ দেন বাভুমা।

শেষ দিকে মিলারের ২৭ বলের ৫০ রানের অপরাজিত ইনিংস দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রায় সাড়ে তিনশ রান এনে দেয়। পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন হারিস।

বড় লক্ষ্যে নেমে দ্বিতীয় ওভারে ৭ রানে ইমাম উল হককে (৫) হারায় পাকিস্তান। বাবরকে নিয়ে ফখর জামানের জুটি বড় হওয়ার পথে ছিল। কিন্তু ৬৩ রানে এই জুটি ভেঙে ব্রেক থ্রু আনে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১১তম ওভারে জোড়া আঘাত হেনে বাবর (৩১) ও মোহাম্মদ রিজওয়ানকে (০) ফেরান নর্টিয়ে। এক ওভার বিরতি দিয়ে দানিশ আজিজকেও মাঠছাড়া করেন এই পেসার। ৮৫ রানে ৪ উইকেট হারানো পাকিস্তানকে আবার লড়াইয়ে ফেরান ফখর। শাদাব খান (১৩) তার সঙ্গে ৩৫ রানের জুটি গড়ে বিদায় নেন তাবরাইজ শামসির শিকার হয়ে।

ফখরের সঙ্গে ৬৬ রান তুলে মাঠ ছাড়েন আসিফ আলী (১৯)। রান রেট বাড়তে থাকলেও ফখর শেষ চেষ্টা করে গেছেন। ৭০ বলে করা হাফ সেঞ্চুরিকে সেঞ্চুরি বানান ১০৭ বল খেলে।
এর আগে ফাহিম আশরাফ আউট হন ১১ রানে। ফখরের সেঞ্চুরি উদযাপনে ক্রিজে সঙ্গী ছিলেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। ততক্ষণে টার্গেট পাকিস্তানের জন্য অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। শেষ ১০ ওভারে ৩ উইকেটে দরকার ছিল ১১৬ রান।

যদিও ডেথ ওভারে ফখরের অবিশ্বাস্য ইনিংস ম্যাচে উত্তেজনা ফেরায়। ৪৪তম ওভারে শামসিকে টানা তিন ছক্কা মারেন দেড়শ উদযাপন করতে। তাতে শহীদ আফ্রিদি ও আব্দুল রাজ্জাকের পর তৃতীয় পাকিস্তানি হিসেবে এক ইনিংসে অন্তত ১০ ছক্কা মারেন ফখর। ৪৫তম ওভারে শাহীনকে ফিরিয়ে ৬৮ রানের জুটি ভাঙেন কাগিসো রাবাদা। এই জুটিতে মাত্র ৫ রান করেন শাহীন।

ফখরের মারকুটে ব্যাটিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে কাঁপিয়ে দেয় পাকিস্তান। শেষ ওভারে তাদের দরকার ছিল ৩১ রান। আর ডাবল সেঞ্চুরি করতে ফখরের লাগতো ৮ রান। বাঁহাতি ওপেনার প্রথম বলে দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রান আউট হন ১৯৩ রানে। নির্ভার হয়ে রানটি নিতে গিয়ে মার্করামের সরাসরি থ্রোতে আউট হন তিনি। তার ১৫৫ বলের ইনিংসে ছিল ১৮ চার ও ১০ ছয়। ১৩ রান আসে শেষ ওভারে।

ঢাকা/ফাহিম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়