ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

কমদতলীতে ট্রিপল মার্ডার: শফিকুল ৩ দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:১১, ২১ জুন ২০২১  
কমদতলীতে ট্রিপল মার্ডার: শফিকুল ৩ দিনের রিমান্ডে

রাজধানীর কদমতলী থানাধীন মুরাদপুরের একটি বাসা থেকে এক দম্পতি ও তাদের ছোট মেয়ের লাশ উদ্ধারের মামলায় বড় মেয়ের স্বামী শফিকুল ইসলাম অরন্যর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (২১ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এ আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কদমতলী থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) জাকির হোসাইন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামিকে হাসপাতাল থেকে থানায় এনে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে মামলা সংক্রান্ত বেশকিছু তথ্য পাওয়া গেছে। তবে কী কারণে তিনজনকে হত্যা করেছে এবং এ ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত ছিল কি না, সে সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। শফিকুল তার স্ত্রীর সহযোগিতায় পরিকল্পনা মোতাবেক তার শ্বশুর, শাশুড়ি ও শ্যালিকাকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এটি আলোচিত হত্যা মামলা। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

আদালতে শফিকুলের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। শফিকুলের কিছু বলার আছে কি না, তা জানতে চান বিচারক। শফিকুল নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। পরে আদালত তার তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে রোববার (২০ জুন) ওই মামলায় নিহত ওই দম্পতির বড় মেয়ে মেহজাবিন ইসলাম মুনের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

মেহজাবিনের বাবা মাসুদ রানা ২৬ বছর ধরে সৌদি প্রবাসী ছিলেন। মাঝে মধ্যে তিনি দেশে আসতেন। মাসুদ রানা তার মেয়ে মেহজাবিন ইসলাম মুনকে শফিকুল ইসলাম অরন্যর সঙ্গে বিয়ে দেন। এরপর থেকে মেহজাবিন সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য তার মা মৌসুমি ইসলামকে বিভিন্নভাবে চাপ দিতেন। সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় মেহজাবিন ও তার স্বামী শফিকুল ছয় মাস আগে থেকে মাসুদ রানা, তার স্ত্রী মৌসুমি এবং মেয়ে জান্নাতুল ইসলাম মোহনীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। মাসুদ রানা তিন মাস আগে সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন। মেহজাবিন ও শফিকুল গত ১৮ জুন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মাসুদ রানার বাসায় আসেন। রাত ৯টা থেকে বিভিন্ন সময়ে চা-কপি ও পানির সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে মাসুদ রানা, মৌসুমি ইসলাম এবং মোহনীকে তা খাওয়ানো হয়। এতে সবাই অচেতন হলে আসামিরা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে একে একে সবার মৃত্যু নিশ্চিত করেন।

এ ঘটনায় মাসুদ রানার বড় ভাই সাখাওয়াত হোসেন মেহজাবিন ও শফিকুলকে আসামি করে কদমতলী থানায় মামলা দায়ের করেন।

ঢাকা/মামুন/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়