ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

জামিন চান, আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি: আইনজীবীদের পরীমনি

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩০, ২১ আগস্ট ২০২১   আপডেট: ০৯:৪২, ২২ আগস্ট ২০২১
জামিন চান, আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি: আইনজীবীদের পরীমনি

আদালতে নেওয়ার পথে পরীমনি (ফাইল ফটো)

আইনজীবীদের জামিন চাইতে বলেছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। আইনজীবীদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘আপনারা জামিন চান না কেন? আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি।'

তৃতীয় দফায় এক দিনের রিমান্ড শেষে শনিবার (২১ আগস্ট) পরীমনিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা। দুপুর পৌনে ১২টার কিছু আগে তাকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়। তাকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। বিকেল পৌনে ৩টার দিকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়ে শুনানির জন্য পরীমনিকে এজলাসে তোলা হয়। এর পর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালতে পরীমনিকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়ে শুনানি হয়।

এদিন পরীমনির পক্ষে জামিন আবেদন করেননি তার আইনজীবীরা। তবে আইনি বিষয়ে পরামর্শ করতে পরীমনির সঙ্গে কথা বলার আবেদন করেন নীলাঞ্জনা রিফাত (সুরভী)। তিনি বলেন, ‘পরীমনি অসুস্থ। তার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয় না। কোনো আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয় না। আমরা মামলার বিষয়ে আসামির সঙ্গে আলোচনা করতে চাই। আসামি বাংলাদেশের নাগরিক। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ আছে আইনে। আইনজীবীরা আদালতে আসামির সঙ্গে দেখা করতে ও কথা বলতে পারেন। সে অসুস্থ, তার লাইফস্টাইল অন্যরকম। আসামি কাছে জানতে হবে, কী ঘটনা ঘটেছিল। আইনে বিষয়ে আমরা কথা বলতে চাই।’

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আবু এর বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন,‘আসামির সঙ্গে দেখা করতে দেওয়ার বিষয়ে আমাদের আপত্তি আছে। যখন আসামি বের হবে, তখন ট্রায়াল স্টেজে কথা বলেন। এর আগে পরীমনির সঙ্গে তার নানাকে কথা বলতে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের আপত্তি আছে।’

তিনি বলেন, ‘তার (পরীমনি) কাছ থেকে বিদেশি মদ, এলএসডি, আইস, ব্রট পাওয়া গেছে। তাই তদন্তের স্বার্থে তার সঙ্গে আলাদা করে কথা বলতে দেওয়া যাবে না, দরকার নেই।’

এ সময় বিচারক আসামিপক্ষের আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন,‘আপনারা কী কথা বলতে চান?

আইনজীবীরা বলেন, ‘আইনগত বিষয়ে কথা বলতে চাই। প্রয়োজনে আপনি সিএমএম হাজতখানায় কথা বলার সুযোগ করে দেন। ওটা তো নিরাপদ জায়গা।’

এরপর বিচারক নথি পর্যালোচনা করে আদেশ দেবেন বলে জানান। কিছু সময় পরে পরীমনির সঙ্গে দেখা করার আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

এর মাঝে আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে পরীমনি বলেন,‘আমাকে কি আপনারা পাগল বানাবেন? আমি তো পাগল হয়ে যাচ্ছি। আপনারা জামিন চান। আমার সঙ্গে কী কথা বলবেন? আমি তো পাগল হয়ে যাব। আপনারা বুঝতেছেন, আমার কী কষ্ট হচ্ছে?’

ঢাকা/মামুন/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়