ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

দুর্নীতির দায়ে সেটেলমেন্ট অফিসার ও সার্ভেয়ারের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৫২, ২৮ মার্চ ২০২৩  
দুর্নীতির দায়ে সেটেলমেন্ট অফিসার ও সার্ভেয়ারের কারাদণ্ড

দুর্নীতির মামলায় ঢাকার তেজগাঁও ভূমি অফিসের সাবেক সেটেলমেন্ট অফিসার মো. আশরাফ আলী হাওলাদারকে ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অপর আসামি সাবেক সার্ভেয়ার মো. মনিরুল ইসলামকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষনা করেন।

রায় ঘোষণার সময় মনিরুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। মো. আশরাফ আলী পলাতক আছেন। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ঢাকার উত্তরখানে একটি সম্পত্তির ক্রয়সূত্রে মালিক স্বর্ণা খান। স্বর্ণা খান থাকেন ঢাকায় কাঁঠালবাগান এলাকায়। এত দূর থেকে উত্তরখানে গিয়ে সব সময় সম্পত্তির খোঁজ রাখা সম্ভব ছিল না। তাই, স্থানীয় নূরন্নবী ফিরোজ ওই সম্পত্তি ১৯৯১-১৯৯২ সালের একটি এওয়াজবদল দলিল মূলে দখল করে তার ওপর ঘর তুলে দখলিস্বত্ব স্থাপন করেন। এই দখলের বিরুদ্ধে স্বর্ণা খান আপিল করলে তার নামে রেকর্ড হয়। রেকর্ডের বিরুদ্ধে নূরন্নবী ফিরোজ আপিল করলে আপিল অফিসার আশরাফ আলী হাওলাদার ওই সম্পত্তি ২০০২ সালে নূরন্নবী ফিরোজের পক্ষে রেকর্ডের রায় দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে স্বর্ণা খান আপিল করলে আব্দুল হাকিম উভয় পক্ষের কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করেই আশরাফ আলী হাওলাদারের রায়ের ওপর ভিত্তি করে ২০০৭ সালে রেকর্ড দেওয়ার আদেশ দেন। পরবর্তীতে আবদুল হাকিমের রায়ের বিরুদ্ধে স্বর্ণা পুনরায় আপিল আবেদন করলে সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার স্বপন কুমার বৈদ্য উভয় পক্ষের কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে স্বর্ণা খানের পক্ষে রেকর্ড সংশোধনের সুপারিশ করেন। তার সুপারিশের ভিত্তিতে মহাপরিচালক ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর ইবিটি রুলসের ৪৪ বিধি মোতাবেক স্বর্ণা খানের নামে চূড়ান্তভাবে রেকর্ড সংশোধন করেন। যাতে প্রমাণিত হয়, স্বর্ণা খান ক্রয় সূত্রে সম্পত্তির মালিক হওয়া সত্বেও সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মো. আশরাফ আলী হাওলাদার ও মো. আবদুল হাকিম পরস্পর যোগসাজশে আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক স্বর্ণার সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলকারী নূরন্নবী ফিরোজের নামে রেকর্ড সংশোধনের আদেশ দেন।

এ অভিযোগে ২০১১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক নূর হোসেন খান তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মামলা করেন। মামলায় আশরাফ আলী হাওলাদার, আবদুল হাকিম এবং নূরন্নবী ফিরোজ আসামি ছিলেন।

মামলায় ২০১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি চার্জশিট দাখিল করা হয়। চার্জশিটে আশরাফ আলী হাওলাদার, আবদুল হাকিম এবং নূরন্নবী ফিরোজের সঙ্গে সার্ভেয়ার মো. মনিরুল ইসলামকে সংযুক্ত করা হয়। তবে, আবদুল হাকিম মারা যাওয়ায় তাকে বাদ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আসামি নূরন্নবী ফিরোজ চার্জ গঠনের শুনানিতে অব্যাহতি পান।

মামুন/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়