ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

অর্থ আত্মসাতের মামলায় ফেঁসে যাচ্ছেন রিজেন্টের সা‌হেদ

জ্যেষ্ঠ প্রতি‌বেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:১১, ২৯ মার্চ ২০২৩   আপডেট: ১৯:২৬, ২৯ মার্চ ২০২৩
অর্থ আত্মসাতের মামলায় ফেঁসে যাচ্ছেন রিজেন্টের সা‌হেদ

এনআরবি ব্যাংক থেকে হাসপাতালের নামে ঋণ নি‌য়ে এক কোটি ৫১ লাখ ৮১ হাজার ৩৬৫ টাকা আত্মসাৎ এবং পাচারের মামলায় ফেঁসে যা‌চ্ছেন রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমসহ তিনজন।

মামলার তদ‌ন্তে তা‌দের বিরু‌দ্ধে অপরা‌ধের প্রমাণ পে‌য়ে‌ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

কো‌টি টাকার ঋণ নি‌য়ে আত্মসা‌তের মামলায় সাহেদসহ তিনজনের বিরু‌দ্ধে চার্জ‌শিট দেয়া হ‌য়ে‌ছে। দুদকের উপ-পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম মামলার তদন্ত শে‌ষে আসা‌মি‌দের বিরু‌দ্ধে চার্জ‌শিট জমা দেন।

বুধবার (২৯ মার্চ) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে অভিযোগপত্রটির অনুমোদন দেওয়া হয়। শিগগির আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে বলে দুদক সূত্র জানিয়েছে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইব্রাহিম খলিল এবং করপোরেট হেড অফিসের সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার মো. সোহানুর রহমান। ত‌বে মামলার আসা‌মি এনআরবি ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট (এসই ব্যাংকিং) ওয়াহিদ বিন আহমেদের বিরু‌দ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়‌নি।

দুদ‌কের তদ‌ন্তে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৭ নভেম্বর রিজেন্ট হাসপাতালের নামে হিসাব খোলা হয়। চলতি হিসাবটি খোলার সময় সাহেদের কোনো টাকা জমা হিসাবে গ্রহণ করা হয়নি। ছিল না ঋণের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত জামানত। ঋণ বিতরণের আগে বা পরে যথাযথ তদারকিও করা হয়নি। অথচ হিসাব খোলার একদিন আগেই ঋণ মঞ্জুরের জন্য সুপারিশ করা হয়। এমনকি ঋণ মঞ্জুরিপত্রের শর্তানুযায়ী নির্ধারিত সময়ে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা হয়নি। কেবলমাত্র ঋণ মঞ্জুরিপত্রের শর্তানুযায়ী এফডিআর করেছিলেন সাহেদ। পরবর্তী সময় সাহেদ ঋণ পরিশোধ না করে ওই এফডিআর ক্লোজ করে ঋণ সমন্বয় করেন। এমনকি সাহেদ স্বেচ্ছায় কখনও ঋণের টাকা পরিশোধ করেননি। 

দুদকের অনুসন্ধানে আরো উঠে আসে যে, আসামিরা প্রতারণার মাধ্যমে ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এনআরবি ব্যাংক থেকে দুই কিস্তিতে ঋণ রিসিডিউলসহ দুই কোটি চার লাখ ৯০ হাজার ৯৮৭ টাকা নেন। 

এর আগে ২০২০ সালের ২২ জুলাই সাহেদসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এনআরবি ব্যাংক থেকে হাসপাতালের নামে ঋণ বাবদ এক কোটি ৫১ লাখ ৮১ হাজার ৩৬৫ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে এই মামলা হয়।

নঈমুদ্দীন/তারা

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়