ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

মঞ্জুর হত্যা: মামলার ২৮ বছরেও শেষ হয়নি বিচারকাজ

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:১৩, ১ জুন ২০২৩   আপডেট: ০৯:২৩, ১ জুন ২০২৩
মঞ্জুর হত্যা: মামলার ২৮ বছরেও শেষ হয়নি বিচারকাজ

মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আবুল মঞ্জুর হত্যার ৪২ বছর আজ। ১৯৮১ সালে এই দিনে তাকে খুন করা হয়। ঘটনার ১৪ বছর পর মামলা দায়ের করা হয়।

মামলা দায়েরের পর ২৮ বছরে শেষ হয়েছে সাক্ষ্যগ্রহণ। তবে আইনি জটিলতায় বিলম্বিত হচ্ছে বিচারকাজ। এদিকে বিচারের দীর্ঘসূত্রিতায় মূল আসামি তৎকালীন সেনাপ্রধান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদসহ একাধিক আসামির মৃত্যু হয়েছে। 

এই মামলায় আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য বৃহস্পতিবার (১ জুন) দিন ধার্য রয়েছে। তবে একজন আসামির পক্ষে বিচারকাজ স্থগিত থাকায় এদিন মামলার স্বাভাবিক কার্যক্রম চলা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।

পুরান ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ী এজলাসে ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ মামলার বিচারকাজ চলছে। 

সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আসাদুজ্জামান খান রচি মামলার সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে বলেন, মঞ্জুর হত্যা মামলা দায়েরের ১৯ বছর পর বিচারিক কাজ শেষে ২০১৪ সালে তা রায়ের পর্যায়ে এসেছিল। সেখান থেকে পুনঃতদন্তের পর দ্বিতীয় দফায় মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ৩০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য দেওয়া হয়। বিচারিক প্রক্রিয়া অনুযায়ী এখন ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আসামিরা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবেন। সেজন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য রয়েছে। 

তবে মামলাটি রায়ের পর্যায়ে আসার পথে প্রতিবন্ধকতা এখনো শেষ হয়নি জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান রাচি বলেন, এ মামলার অভিযোগ গঠন চ্যালেঞ্জ করে আসামি অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল শামসুর রহমান শামস হাইকোর্টে আবেদন করেন। হাইকোর্ট তখন এ আসামির ক্ষেত্রে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেছিলেন। এই স্থগিতাদেশ এবং রুলটি কী পর্যায়ে আছে তা সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। এ বিষয়েও আজ (বৃহস্পতিবার) আদালতে তথ্য আসার কথা। স্থগিতাদেশ না থাকলে আদালত তার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত দেবেন।

জানা যায়, ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি থাকাকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে একদল বিপথগামী সৈন্যের গুলিতে নিহত হন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান। তখন মেজর জেনারেল এম এ মঞ্জুর সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের জিওসি ছিলেন। জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশের হাতে আটক হন জেনারেল মঞ্জুর। পুলিশ হেফাজত থেকে ১ জুন চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নেওয়ার পর তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

ঘটনার ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন মঞ্জুরের ভাই আবুল মনসুর আহমেদ। ওই বছরই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তখনকার সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ অভিযোগপত্র দাখিল করলে সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদসহ মোট পাঁচ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ডিজিএফআইয়ের সাবেক প্রধান আবদুল লতিফ, মেজর (অব.) কাজী এমদাদুল হক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শামসুর রহমান শামস ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোস্তফা কামাল উদ্দিন।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, মঞ্জুরকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে জিয়া হত্যায় জড়িয়ে সামরিক হেফাজতে নিয়ে তড়িঘড়ি করে হত্যা করা হয়েছিল।

ঢাকা/মামুন/ইভা 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়