ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০৯ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

না বুঝেই সেদিন চলে যান সেই চেয়ারম্যান, দাবি আইনজীবীর

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:১৩, ৩১ মার্চ ২০২৪  
না বুঝেই সেদিন চলে যান সেই চেয়ারম্যান, দাবি আইনজীবীর

না বুঝেই সেদিন হলমার্ক কেলেঙ্কারির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সেই চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকার আদালত থেকে চলে যান বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল।

রোববার (৩১ মার্চ) আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এমনটাই জানান এ আইনজীবী। তিনি বলেন, ১৯ মার্চ জামাল উদ্দিন সরকার জামিনে থেকে আদালতে হাজিরা দেন। ওই দিন প্রথমে জেরা হয়। জেরার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এরপর বিরতিতে যায় আদালত। রায়ের সময় আদালত থেকে চলে যান জামাল উদ্দিন সরকার। না বুঝেই তিনি সেদিন আদালত থেকে চলে যান। আমার সাথে কথাও বলে যাননি।

এর আগে, এদিন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. আবুল কাশেমের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন জামাল উদ্দিন সরকার। তার পক্ষে জামিন শুনানি করেন মোস্তফা কামাল।

শুনানিতে তিনি বলেন, এ আসামি ২০১২ সালে জামিনে যাওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত কোনদিন আদালতে অনুপস্থিত থাকেননি। অসুস্থতার কারণে আদালতে না আসতে পারলে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দিতেন। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। আর বয়সও হয়েছে ৭৫ বছর। আপিলের শর্তে তার জামিনের প্রার্থনা করছি। আর জামিন না দিলে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসার সুযোগ দিতে আবেদন করেন আইনজীবী।

দুদকের পক্ষে মীর আহাম্মদ আলী সালাম জামিনের বিরোধিতা করা হয়।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আর কারাবিধি অনুযায়ী কর্তৃপক্ষকে চিকিৎসার নির্দেশ দেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মোস্তফা কামাল এসব তথ্য জানান।

গত ১৯ মার্চ হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় সোনালী ব্যাংকের প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার ঋণ দুর্নীতির ১১ মামলার মধ্যে এক মামলার রায়ে প্রতিষ্ঠানটি ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামসহ ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। সোনালী ব্যাংকের শীর্ষ সাত কর্মকর্তাকে পৃথক দুই ধারায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। মামলায় সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকারকে এক ধারায় পাঁচ বছর ও আরেক ধারায় দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জামিনে থাকা একমাত্র আসামি জামাল উদ্দিন রায় শুনতে আদালতে হাজির হন। ওকালতনামায় স্বাক্ষরও করেন। রায় ঘোষণা শোনেন। আদালত তাকে পৃথক দুই ধারায় সাত বছরের সাজা দেন। সাজার রায় শোনার পরে এক ফাঁকে আদালত থেকে পালিয়ে যান তিনি। পরে আদালত জামাল উদ্দিনের জামিন বাতিল করে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

ঢাকা/মামুন/এনএইচ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়