এক মাস পেশায় থাকতে পারবেন না রাষ্ট্রপক্ষের সেই আইনজীবী

আদালত অবমাননা এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় বিচারকের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হেয় প্রতিপন্নমূলক বক্তব্য সম্বলিত ভিডিও প্রকাশ করার ঘটনায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম পলাশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে হাইকোর্ট।

এরই অংশ হিসেবে তাকে আগামী এক মাসের জন্য রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর দায়িত্ব ও আইন পেশা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুলের পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১০ জুন তারিখ ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (৮ মে) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। 

আদালতে পিপির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান। বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার খোন্দকার রেজা-ই রাকিব।

গত ৩১ মার্চ খুলনা মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক তরিকুল ইসলামকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা ও হেয় প্রতিপন্নমূলক ভিডিও প্রকাশ এবং আদালতে অশালীন আচরণের ঘটনায় খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর জহিরুল ইসলাম পলাশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধান বিচারপতি বরাবর চিঠি দেন।

গত ৩ এপ্রিল আদালত অবমাননা এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় বিচারকের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হেয় প্রতিপন্নমূলক বক্তব্য সম্বলিত ভিডিও প্রকাশ করায় তার ব্যাখ্যা দিতে জহিরুল ইসলাম পলাশকে তলব করেন হাইকোর্ট। ৭ মে তাকে সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার ঘটনায় কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

এদিন জহিরুল ইসলাম পলাশ উচ্চ আদালতে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।