শ্যামপুর খাল ও খাস জমি উদ্ধার
![শ্যামপুর খাল ও খাস জমি উদ্ধার শ্যামপুর খাল ও খাস জমি উদ্ধার](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2024April/dc-2405221621.jpg)
শ্যামপুর খালের এক মাথা বুড়িগঙ্গা নদীতে এবং অন্য মাথা শীতলক্ষ্যা নদীতে মিশেছে
রাজধানীর কদমতলী মৌজায় দখল করা শ্যামপুর খাল ও এর সংলগ্ন খাস জমি উদ্ধার করেছে ঢাকা জেলা প্রশাসন। কদমতলী থানার মোহাম্মদবাগ চৌরাস্তা হয়ে শ্যামপুর রোডের পাশ দিয়ে এ খাল বহমান।
বুধবার (২২ মে) ঢাকা জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমানের সার্বিক নির্দেশনায় ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. শিবলী সাদিকের তত্ত্বাবধানে মতিঝিল রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাহামুদুল হাসান অভিযান চালিয়ে কদমতলী মৌজাস্থ শ্যামপুর রোডের শ্যামপুর খাল ও এর সংলগ্ন প্রায় ৬৭ শতাংশ খাস জমি চিহ্নিত ও উদ্ধার করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খালের এক মাথা বুড়িগঙ্গা নদীতে এবং অন্য মাথা শীতলক্ষ্যা নদীতে মিশেছে। স্থানীয় ভূমিদস্যু ও দখলদারদের আগ্রাসনে ধীরে ধীরে খালটি বিলুপ্তির দিকে এগুচ্ছে। ওই খাল সংলগ্ন প্রায় ২০ শতাংশ খাস জমি দখলে রয়েছে। তার মধ্যে দশমিক ০৭১৪ একর জমিতে সেমিপাকা কাঠের আসবাবপত্র তৈরির কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। দশমিক ০৭২৩ একর ভূমি পতিত অবস্থায় আছে। এছাড়া, প্রায় দশমিক ০৩৬৭ একর জমিতে দুটি সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। খাস জমির সীমানা চিহ্নিত করে লাল নিশান ও মালিকানা সাইনবোর্ড টাঙিয়ে সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসন, ঢাকার দখল ও নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান বলেছেন, ঢাকা জেলার বিভিন্ন স্থানে মূল্যবান অনেক খাস জমি ভূমিদস্যু ও দখলদাররা দীর্ঘদিন ধরে দখল করে আছে। এগুলো উদ্ধার ও সংরক্ষণে জেলা প্রশাসন সর্বদা তৎপর। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মামুন/রফিক
আরো পড়ুন