হাড় ও মাংস বিচ্ছিন্ন, আনারের মরদেহ পাওয়ার আশা কম: ডিবি
আনোয়ারুল আজিম আনার/ ফাইল ছবি
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের মরদেহ পাওয়ার আশা খুব কম। খুনিরা মরদেহ টুকরো করে হলুদ লাগিয়ে ট্রাভেল ব্যাগে করে বিভিন্ন সময় ফ্ল্যাট থেকে বের করে নিয়ে গেছে। তার আগে মাংস থেকে হাড় আলাদা করে ফেলেছে। তারপরও সংসদ সদস্য আনারের মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ডিএমপি ডিবি প্রধান।
মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, হত্যার নেতৃত্ব দেয় শিমুল ভূঁইয়া। তার ছদ্মনাম আমানউল্লাহ আমান। তিনি পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা। আনারকে হত্যা করার জন্য গুলশান ও বসুন্ধরায় দুবার বৈঠক হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী শিমুল তার সহযোগী তানভীর ভূঁইয়া এবং মাস্টারমাইন্ড আখতারুজ্জামান শাহীনের গার্লফ্রেন্ড শিলাস্তি রহমান ৩০ এপ্রিল কলকাতা যান। শিমুল এর আগে ‘আমানউল্লাহ’ নামে নতুন পাসপোর্ট করেন। ১৩ মে বিকেল ৩টার দিকে হত্যাকারীরা আনারকে নিয়ে কলকাতার ওই ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেন। মাত্র আধা ঘণ্টার মধ্যে তারা হত্যাকাণ্ড সম্পন্ন করেন।
এ ঘটনার সঙ্গে আরো কারা জড়িত জানতে তদন্ত চলছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ভারতের কলকাতা যান। প্রথমে কলকাতার বরাহনগরে বন্ধু স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন। কিন্তু সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি নিখোঁজ হন। এরপর স্থানীয় থানায় জিডি করেন গোপাল বিশ্বাস। অন্যদিকে, পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে যোগাযোগে ব্যর্থ হলে তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বিষয়টি ঢাকার ডিবি পুলিশকে জানান। তদন্ত শুরু হয় দুই দেশে। বুধবার সকালে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে খবর আসে, নিউ টাউনের এক বাড়িতে খুন হয়েছেন এমপি আনার। তবে এখনো তার মরদেহ উদ্ধার হয়নি।
এ ঘটনায় পুলিশ ঢাকার মোহাম্মদপুর ও সাভার থেকে তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা ৫ কোটি টাকার চুক্তিতে কলকাতায় ভাড়াটে খুনি হিসেবে কাজ করেছেন বলে তথ্য রয়েছে। ইতোমধ্যেই শিমুল ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমানকে শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মাকসুদ/এনএইচ