ঢাকা     মঙ্গলবার   ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ২৬ ১৪৩১

ডেসটিনির আরেক মামলার রায় পেছালো

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:০১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১৩:৫২, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
ডেসটিনির আরেক মামলার রায় পেছালো

ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে করা মামলায় রায়ের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৫ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এ মামলায় রায়ের তারিখ ধার্য ছিল। তবে, রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম তারিখ পিছিয়ে দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী বেলাল হোসেন গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ১১ নভেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও আসামিপক্ষের যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ ২৮ নভেম্বর ধার্য করেন আদালত।

মামলার অপর আসামিরা হলেন— ডেসটিনির পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারুনুর রশিদ, প্রধান কার্যালয়ের চেয়ারম্যান মো. হোসেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ গোফরানুল হক, মো. সাইদ-উর রহমান, মেজবাহ উদ্দিন স্বপন, ইঞ্জিনিয়ার শেখ তৈয়েবুর রহমান ও গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস, পরিচালক সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, ইরফান আহমেদ সানী, ফারহা দিবা ও জামসেদ আরা চৌধুরী, প্রফিট শেয়ারিং ডিস্ট্রিবিউটর মো. জসিম উদ্দীন ভূইয়া, ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন ও সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ, ডায়মন্ড এক্সিকিউটিভ এস এম আহসানুল কবির বিপ্লব, জোবায়ের সোহেল ও আব্দুল মান্নান এবং ক্রাউন এক্সিকিউটিভ মোসাদ্দেক আলী খান।

আসামিদের মধ্যে কারাগারে আছেন রফিকুল আমীন, ফারহা দিবা ও মোহাম্মদ হোসেন। জামিনে আছেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারুনুর রশিদ। ১৫ আসামি পলাতক।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রাজধানীর কলাবাগান থানায় ২০১২ সালের ৩১ জুলাই দুটি মামলা করে৷ ২০১৪ সালের ৪ মে একটি মামলায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে এবং অপর মামলায় ৪৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। 

২০২২ সালের ১২ মে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ এবং বেআইনিভাবে অর্থ পাচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। হারুন অর রশীদসহ ৪৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের শীর্ষ কর্মকর্তারা আইন ও বিধি লঙ্ঘন করে গাছ বিক্রির নামে ২ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। এর মধ্যে ঋণপত্র (এলসি) হিসেবে ৫৬ কোটি ১৯ লাখ ১৯ হাজার ৪০ টাকা এবং সরাসরি ২ লাখ ৬ হাজার মার্কিন ডলার পাচার করা হয়েছে।

ঢাকা/মামুন/রফিক


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়