‘হিট র্যাশ’ ‘সান বার্ন’ তীব্র গরমে ৫ বিষয়ে সচেতনতা
তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। আবহাওয়া জানান দিচ্ছে তাপমাত্রা আগামী দুদিন অপরিবর্তিত থাকবে। গতকাল ঢাকায় ৫৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস) রেকর্ড করা হয়েছে।
গরম যতই পড়ুক নিত্যকাজে মানুষকে বাড়ির বাইরে যেতে হয়। এ সময় কিছু বিষয় মেনে চলা উচিত। অতিগরমে শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিতে পারে।
প্রথমত, প্রখর সূর্যের তাপে গায়ে র্যাশ দেখা দিতে পারে। একে ‘হিট র্যাশ’ বলে। এ সময় রোদ থেকে নিজেকে বাঁচাতে ব্যবহার করতে পারেন সানস্ক্রিন। ভালো মানের সানস্ক্রিন যেন হয় এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। অনেকের সান বার্ন হতে পারে। সান বার্নের ফলে শরীরে গুটি গুটি ছোট ফুসকুড়ি হয়। ফুসকুড়ি ফাটাবেন না। তবে ঠান্ডা পানিতে ভেজাতে পারেন। সমস্যা বেশি হলে নিতে পারেন ডাক্তারের পরামর্শ।
প্রচণ্ড গরমে শরীরে দেখা দিতে পারে পানিশূন্যতা। পানিশূন্যতায় শরীরে খনিজ পদার্থের ঘাটতি হলে পেশিতে টান পড়তে পারে। একে বলে হিট ক্র্যাম্পস। ব্যাগে এ সময় পানির বোতল রাখবেন। সঙ্গে জুস কিংবা স্যালাইনও থাকতে পারে।
তীব্র গরমে হিট স্ট্রোক হতে পারে। এ সময় শরীরের ভারসাম্য থাকে না। তাই ঘাম হয় না। কিন্তু হিট স্ট্রোক হলে মস্তিষ্ক, কিডনি, হৃদযন্ত্রে প্রভাব পড়ে। শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে ১০৩-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট হলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। রোগীকে চিকিৎসকের কাছে বা হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
এ সময় মোটা কাপড় গায়ে না দিয়ে হালকা সুতির পাতলা কাপড় ব্যবহার করুন। ঘাম যেসব কাপড়ে দ্রুত শুকিয়ে যায় সেসব কাপড় ব্যবহার করা উত্তম। ব্যাগে রাখতে পারেন ছাতা, মাথায় দেওয়ার ক্যাপ ও রোদ চশমা।
এ সময় বেশি মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার কম খাওয়া ভালো। তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায় এমন খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। পেটপুরে না খেয়ে অল্প খাওয়ার অভ্যাস করুন।
ফিরোজ//