চীনে মাস্কসহ শুভেচ্ছা স্মারক দিচ্ছে বাংলাদেশ

করোনাভাইরাস প্রতিহত করতে শুভেচ্ছা স্মারক হিসেবে চীনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক, গাউন ও হাত মোজা পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের কাছে এসব স্মারকের কিছু নমুনা তুলে দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।

চিকিৎসা সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ১০ লাখ হ্যান্ড গ্লাভস, ৫ লাখ ফেস মাস্ক, দেড় লাখ মাথার ক্যাপ, হ্যান্ড সেনিটাইজার ১ লাখ, সু কাভার ৫০ হাজার এবং ৮ হাজার গাউন।

এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘চীন সরকারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য, চীনের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বন্ধুত্বের জায়গা থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে এসব সামগ্রী পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা এখন যেসব সামগ্রী তুলে দিচ্ছি, যার সবগুলোই বাংলাদেশে তৈরি।’

তিনি আরো বলেন, চীন থেকে বাংলাদেশে যেসব শিক্ষার্থী এসেছেন তারা সবাই সুস্থ আছেন এবং বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি পাওয়া যায়নি।

চিকিৎসা সামগ্রীর জন্য বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের প্রতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি, তার উদারতার জন্য আমরা ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এটা ঠিক যে, আমরা সাময়িক দুরাবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। তবে যৌথ উদ্যোগে এর বিস্তৃতি আমরা ঠেকাতে পারবো।’

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা ৫০০ করোনা টেস্টিং কিট দিয়েছি বাংলাদেশ সরকারকে যেন তারা দ্রুত করোনা শনাক্ত করতে পারে। পাশাপশি চীনে যেসব বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আছেন, আমরা তাদের পূর্ণ দেখভাল করছি। বাংলাদেশ হয়তো তাদের নিরাপত্তার জন্য চীন থেকে অন্য শিক্ষার্থীদের দেশে ফিরিয়ে নিচ্ছে না। তবে তারা ফিরিয়ে নিতে চাইলে আমরা সব ধরনের সহায়তা করবো।’

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় চীন ভালো করছে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনতে তারা যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে। সেখানে এখনো যেসব বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন, তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করছে চীন সরকার।

তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের বন্ধুত্বের নিদর্শন স্বরূপ কিছু চিকিৎসা সামগ্রী সেখানে পাঠাচ্ছি। আমি এটা ভেবে খুবই উৎফুল্ল যে, স্বাস্থ্যখাতে আমাদের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। আমাদের সক্ষমতা দিন দিন বাড়ছে।’


ঢাকা/হাসান/সাজেদ