ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

নারী-শিশুর স্বাস্থ্যসেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৯ দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৩০, ৩০ মার্চ ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নারী-শিশুর স্বাস্থ্যসেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৯ দাবি

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সমন্বিত প্রচেষ্টা চালানো এবং নারী-শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নয়টি দাবি জানিয়েছে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম।

সোমবার (৩০ মার্চ) বিকেলে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এসব দাবি জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, করোনাভাইরাস সারা বিশ্বে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশে ইতোমধ্যে ৪৮ জন ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা মনে করি, এটি ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়লে দেশে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন আমাদের নারী ও শিশুরা। কারণ, যেকোনো মহামারিই নারী ও শিশুদের পেছনে ফেলে দেয়। তাই সম্মিলিতভাবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ এবং এই সময় নারী-শিশুদের চিকিৎসাসেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে কিছু দাবি ও আহ্বান জানাচ্ছি।

দাবিগুলো হচ্ছে— 

১. করোনাভাইরাসের ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করুন এবং কর্মপরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের জন্য বিশেষ তহবিল গঠন করুন।

২. করোনাভাইরাস আতঙ্কের কারণে প্রচুর নারী গৃহকর্মী ও পোশাক শিল্পে কর্মরত কয়েক লাখ নারী সাময়িকভাবে তাদের চাকরি হারাচ্ছেন। এ সময় নারী গৃহকর্মী, দিনমজুর ও হতদরিদ্র মানুষদের জন্য বিনামূল্যে কিংবা স্বল্পমূল্যে খাদ্যদ্রব্য যোগানের ব্যবস্থা করুন।

৩. সহজলভ্য উপায়ে সারা দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরীক্ষা, চিকিৎসাসেবার সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। করোনাভাইরাস মোকাবিলা করতে গিয়ে যেন আমাদের পুরো স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে না পড়ে এবং আমাদের হাসপাতালগুলো যেন প্রসবকালীন জটিলতাসহ অন্যান্য অসুস্থতা নিয়ে ভর্তি হওয়া নারীকেও সঠিক সেবা দিতে পারে তা নিশ্চিত করুন।

৪. বিদেশফেরত ও সন্দেহভাজন রোগীদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করুন। যারা কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন তাদের খাদ্যসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করুন।

৫. করোনাভাইরাস প্রতিরোধের লক্ষ্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সামাজিক নেতাদের নিয়ে বিশেষ কমিটি গঠন করুন। জনগণ যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে সেজন্য ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি করুন।

৬. সরকারি কর্মকর্তা এবং জনপ্রতিনিধিগণ যাতে জনগণের প্রাপ্য সকল-সুবিধা নিশ্চিত করেন তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করুন।

৭. বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী, মহামারির সময় নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে যায়। বেড়ে যায় বাল্যবিবাহের ঘটনাও। তাই এ সময় নারী নির্যাতন ও বাল্যবিবাহ রোধে বিশেষ নজরদারি বাড়ান। কোথাও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা ঘটলে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই ভুক্তভোগীর জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করুন।

৮. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়াসহ নানা নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রভাব পড়ছে আমাদের শিশুদের দৈনন্দিন জীবনে। তাই হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন সেবামূলক পদক্ষেপ নিন। করোনাভাইরাস কীভাবে শিশুদের জীবনকে প্রভাবিত করে সেটি সঠিকভাবে বোঝানোর জন্য তাদেরকে সম্পৃক্ত করে কাউন্সেলিং কর্মসূচি শুরু করুন।

৯. প্রতিবন্ধী নারী ও শিশুরা যাতে করোনাভাইরাসের কারণে কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হন এবং সুরক্ষা পান তা নিশ্চিত করুন।


ঢাকা/হাসিবুল/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়