ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

ক্রেতা নেই তরমুজের, দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ীরা

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৪৯, ২ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ক্রেতা নেই তরমুজের, দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ীরা

গ্রীষ্মের রসালো ফল তরমুজে ভরে গেছে রাজধানীর আড়তগুলো।  আড়ত থেকে কিনে আনা সে তরমুজ শোভা পেয়েছে দোকানে দোকানে।  চেনা চিত্রের এতটুকু মিল থাকলেও করোনাভাইরাসের কারণে বাকিটা ভিন্ন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ‍দু’দফায় সাধারণ ছুটি ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েছে।  আর জনগণকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে। তাতে ক্রেতার উপস্থিতি কম থাকায় বাজারে হাঁকডাক নেই বিক্রেতাদের।  আর এতে ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।

রাজধানীর অন্যতম বড় দুই ফলের আড়ৎ যাত্রাবাড়ী-বাদামতলী ঘুরে দেখা গেছে, দুই ধরনের (সবুজ ও কালো) তরমুজ বাজারে এসেছে।  যার অধিকাংশই বরিশাল ও উত্তরাঞ্চল থেকে আসা।   ক্রেতা কম থাকায় দামও অনেকটা সহনীয়। আর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তরমুজের ফলনও ভালো হয়েছে।

দেখা যায়, আড়তের সামনে পাইকাররা সারি সারি তরমুজ সাজিয়ে রেখেছেন। আর ক্রেতার অপেক্ষায় গ্রহর গুনছেন।  কিন্তু টানা ছুটি ও ঘরের বাইরে লোকজন বের না হওয়ার নিষেধাজ্ঞার কারণে মৌসুম ফল বিক্রেতারাও হাত গুটিয়ে নিয়েছেন।  তবে ব্যাপারীদের আশা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই জমে উঠবে বাজার।  এক্ষেত্রে তাদের আশঙ্কা সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হতে পারে অনেক তরমুজ। এতে ক্ষতির মুখে পড়বেন ব্যবসায়ীরা।

যাত্রাবাড়ীতে কথা হয় তরমুজ ব্যবসায়ী মোখলেছুর রহমানের সঙ্গে।  তিনি জানান, বরিশাল থেকে ২৬শ তরমুজ এনেছি।  অর্ধেক বিক্রি হয়েছে।  দাম মোটামুটি। লোকজন কম থাকায় বেচাবিক্রি কম হচ্ছে। করোনার কারণে এ বছর ব্যবসায় কী হয় বলা যাচ্ছে না।

আরেক ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, গত বছর বৃষ্টির কারণে তরমুজের ক্ষতি হয়েছে। আর এবছর করোনার কারণে ক্ষতি হতে পারে। তবে লোকজন তরমুজ কেনা শুরু করেছে। মাঝে একটু দাম কম ছিল। এখন একটু বেড়েছে।

তারাবো থেকে তরমুজ কিনতে এসেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. হারুন। তিনি ১৫টি তরমুজ কিনেছেন ৩১০০ টাকা দিয়ে।  তারাবো নিতে খরচ হবে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। তিনি তরমুজগুলোর দাম হাঁকছেন ৩০০ টাকা করে। এ ব‌্যবসায়ী বলেন, বেচাকেনা নেই। দাম বেশি আবার যাতায়াত ভাড়া লাগে। দুই দিন আগে ১০টি তরমুজ নিয়েছিলাম। অনেক কষ্টে সেগুলো বিক্রি হয়েছে।  করোনাভাইরাসের কারণে লোকজন তেমন বের হয় না। আর বিক্রি তেমন হচ্ছে না। আবার বেশিদিন রাখাও যাবে না, পচে যাবে। তাই ভয়ে অনেকেই এবার তরমুজের ব্যবসা করছেন না।

 

ঢাকা/মামুন খান/জেডআর

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়