দাম কমেছে নিত্য পণ্যের
রমজান এবং করোনাভাইরাসের কারণে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়লেও সপ্তাহের ব্যবধানে তা নিম্নমুখী রয়েছে। গরুর মাংস ছাড়া অন্যসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কম রয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
শনিবার (২ মে) রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষিমার্কেট, জনতা মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রমজান আসার পর পণ্যের দাম আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। এর কারণ হিসেবে অনেকে বলছেন, চাহিদা অনুযায়ী পাইকারি বাজার থেকে পণ্য পাওয়া যাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, রাজধানীর পাইকারি ও খুঁচরাবাজারগুলোতে নিয়মিত বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের টিম পর্যবেক্ষণ করছে। ফলে খুচরা বাজারে পণ্যের বেশি মূল্য দেখলে তারা তাৎক্ষণিক সেটি পাইকারি বাজারের সঙ্গে মিলিয়ে দেখছেন। পাইকারি ও খুচরা বাজারে দামের তারতম্য দেখলে হুঁশিয়ারি ও জরিমানা করা হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, খেসারি ডাল ৯০ থেকে ১০০ টাকা, দেশি মুসুর ডাল ১২৫ থেকে ১৪০, বিদেশি মুসুর ডাল ৯৫ থেকে ১০০, মুগ ডাল ১৪০ থেকে ১৫৫, ব্রয়লার মুরগির ডিমের হালি ২৬ থেকে ২৮, হাঁসের ডিম ও দেশি মুরগীর ডিমের হালি ৪০ থেকে ৪৫, সয়াবিন তেল ৮৯ থেকে ৯২ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫২ টাকা, দেশি আদা ২৫০ থেকে ২৬০, বিদেশি আদা ১৮০ থেকে ২২০, রসুন ১৪৫ থেকে ১৬০, গরুর মাংসের কেজি ৫৫০ থেকে ৫৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া বিভিন্ন ধরনের সবজি ২০ টাকা থেকে ৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি মোটা চালের কেজি ৪৪ থেকে ৪৫ টাকা, মাঝারি কেজি ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা, চিকন চাল কেজি ৫৪ থেকে ৬৪, কালো জিরা চালের কেজি ৯৫ থেকে ১১০, আটার কেজি ৩২ থেকে ৩৫, চিনির কেজি ৬৫ থেকে ৬৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ ( টিসিবি) থেকে জানানো হয়েছে, প্রতি কেজি চিনি ৫০ টাকা, মসুর ডাল ৫০ টাকা, সয়াবিন তেল ৫ লিটার বোতল ৪০০ টাকা (প্রতি লিটার ৮০ টাকা) করে খোলা বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।
সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সাধারণ দিনের তুলনায় বাজারের লোক সমাগম কম। ব্যবসয়ীরা বলছেন, রমজান আসায় প্রয়োজন ছাড়া অনেকে বাজারে আসতে চান না। বেশিরভাগই দুপুরের দিকে কাজ শেষ করে চলে যান।
কৃষি মার্কেটের সবজি ব্যবসায়ী আব্দুল জব্বার বলেন, আগের তুলনায় সব কিছুর দাম কমেছে। আরেক ব্যবসায়ী মাসুম বলেন, বাজারে ক্রেতা কম।
কৃষি মার্কেটে বাজার করতে আসা গাজিউর রহমান পারভেজ বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে সব কিছুর দাম কিছুটা কমেছে। এভাবে বাজার স্থিতিশীল থাকলে আমার সমস্যা হতো না।
মাইদুল ইসলাম বলেন, বাজারে মানুষ কম। যেটা রমজানের আগে বেশি ছিল। মানুষের জন্য হাঁটা যেত না। এখন অন্তত বাজারে মানুষ দরকার ছাড়া আসছে না। ফলে প্রয়োজন মতো ঘুরতে পারছি। কোনো ঝুঁকি থাকছে না।
এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, বাজারের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি।
ঢাকা/নূর/এসএম
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন