ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

আর্থিক প্রণোদনা সুবিধা দাবি করেছে বিজিএপিএমইএ

হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫৩, ২১ মার্চ ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আর্থিক প্রণোদনা সুবিধা দাবি করেছে বিজিএপিএমইএ

বিজিএপিএমইএ

বিশেষ প্রতিবেদক : রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান হিসেবে সরকারের দেওয়া প্রণোদনা প্যাকেজসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ)। সম্প্রতি সংগঠনটির পক্ষ থেকে সরকারের কাছে এসব দাবি করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

 

সূত্র জানায়, সরকার অর্থনৈতিক মন্দার হাত থেকে রপ্তানিখাতকে সুরক্ষার জন্য প্রণোদনা দিচ্ছে। বস্ত্রখাত এবং তৈরী পোশাক শিল্পসহ বেশ কিছু রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানকে সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। যদিও সরকার আর্থিক প্রণোদনা দেওয়ার ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে। গার্মেন্টস এক্সেসরিজ এবং প্যাকেজিং শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো শতভাগ রপ্তানিমুখী হওয়া সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত খাতটি আর্থিক প্রণোদনা পায়নি।

 

সূত্র জানায়, গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ এবং প্যাকেজিং শিল্প প্রতিষ্ঠান শুধু ক্ষুদ্র ও মাঝারি ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠানই নয়, শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে গার্মেন্টস খাতে অ্যাক্সেসরিজের পুরো চাহিদাই স্থানীয়ভাবে মেটানো হচ্ছে। এ ছাড়া গার্মেন্টস খাতের উত্থান-পতনের সঙ্গে খাতটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

 

সূত্র জানায়, সংগঠনটি সরকারের কাছে আমদানির প্রাপ্যতা ইস্যুর ক্ষমতা চেয়েছে। এ বিষয়ে বলা হয়েছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিজিএপিএমইএ’র সদস্যদের বন্ড লাইসেন্স স্বয়ংক্রিয়ভাবে দুই বছরের জন্য নিজ নিজ অ্যাসোসিয়েশনের ওপর নবায়নের দায়িত্ব অর্পণ করেছে। কিন্তু যে উদ্দেশে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ড লাইসেন্স নবায়নের ক্ষমতা বিজিএপিএমইএ’র ওপর অর্পণ করা হয়েছে, সে উদ্দেশ্য অপূর্ণ রয়ে গেছে। কারণ, বার্ষিক আমদানি প্রাপ্যতা এখনও বন্ড কমিশনার অফিস থেকে সম্পন্ন করা হচ্ছে। এতে করে বন্ডারদের রপ্তানি কার্যক্রমে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। অর্থাৎ স্বয়ংক্রিয়ভাবে নবায়ন হচ্ছে নিজ নিজ অ্যাসোসিয়েশন থেকে। অন্যদিকে প্রাপ্যতার জন্য আবেদন করতে হচ্ছে বন্ড কমিশনারেট অফিসে।

 

সূত্র জানায়, এনবিআরের প্রজ্ঞাপন নম্বর-৫(২২) শুল্ক: রপ্তানি ও বন্ড ২০০৮/৫৬৪(২০) তারিখ: ২৩-১১-২০০৮ অনুযায়ী বন্ড কমিশনার অফিস বিজিএপিএমইএর সুপারিশের ভিত্তিতে ৬০ শতাংশ আমদানি প্রাপ্যতা বন্ডারদের দিয়ে থাকে। তাই ব্যবসাবান্ধব রপ্তানি কার্যক্রম সহজ করার লক্ষ্যে একই জায়গা থেকে অর্থাৎ নিজ নিজ অ্যাসোসিয়েশনের ওপর আমদানি প্রাপ্যতার দায়িত্ব দেওয়া হলে বন্ডাররা একদিকে যেমন নানামুখী হয়রানির শিকার এবং কালক্ষেপণ থেকে অব্যাহতি পাবে, অপরদিকে সরকারের কোনো রাজস্ব ক্ষতি হবে না।

 

কাস্টমস আইন সংশোধন প্রসঙ্গে সংগঠনটি দাবি করছে যে, ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরের বাজেটে অর্থ আইন, ২০১৩ এর মাধ্যমে কাস্টমস অ্যাক্ট, ১৯৬৯ এর ধারা ৯১ সংশোধনের মাধ্যমে বন্ডেড ওয়্যার হাউজকে তদারকির জন্য শুল্ক মূল্যায়ণ ও অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিশনারেটকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে দেওয়া হয়েছে। গার্মেন্টস এক্সেসরিজ শিল্পের তদারকির জন্য বর্তমানে ঢাকা ও চট্রগ্রাম পৃথক দুটি কাস্টমস বন্ড অফিস আছে। উক্ত বন্ড কমিশনাররা তাদের আওতাধীন প্রত্যক্ষ ও প্রচ্ছন্ন রপ্তানিকারদের বন্ডেড ওয়্যার হাউজের কার্যক্রম তদারকি করে থাকেন এবং প্রতিটি বন্ড লাইসেন্সের কার্যক্রমের পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বার্ষিক অডিট সম্পাদন করা হচ্ছে। কিন্তু এই সংশোধনীর মাধ্যমে শুল্ক মূল্যায়ণ ও অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিশনারেটও বন্ডেড কার্যক্রমের তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ফলে রপ্তানি কার্যক্রমে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়া সংগঠনটির পক্ষ থেকে বন্ড সুবিধা অব্যাহত রাখার দাবি জানানো হয়েছে।

 

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ মার্চ ২০১৫/হাসনাত/রফিক/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়