দ্বিতীয় দিনে ক্যাবলসহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় অবৈধ ক্যাবল সংযোগ উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

দ্বিতীয় দিনে বৃহস্পতিবার (০৬ আগস্ট) রাজধানীর গুলিস্তানে সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন উদয়ন মার্কেটের আশপাশ এবং গোলাপ শাহ মাজার থেকে গুলিস্তান আন্ডারপাস পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ পরিচালনা করা হয়। 

সকাল দশটার কিছু সময় পর ফুলবাড়িয়া মার্কেটের সামনে অবৈধ ক্যাবল সংযোগ উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করেন করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইরফান উদ্দিন আহমদের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত।  এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত গুলিস্থানের উদয়ন মার্কেট এলাকায় প্রবেশ করে। 

এ সময় উদয়ন মার্কেটে ঢোকার মুখে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা একটি রাজনৈতিক দলের স্থানীয় কার্যালয়, মার্কেটের সামনে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা খাবার হোটেল, কাপড়ের দোকান এবং রাস্তার পাশের কনফেকশনারি উচ্ছেদ করে। 

তারপর গোলাপ শাহ মাজার থেকে গুলিস্তান আন্ডারপাস পর্যন্ত রাস্তার দু'পাশের অবৈধ স্থাপনা, ফুটপাতের হকার ও টং দোকান উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করেন করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইরফান উদ্দিন আহমেদ। 

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইরফান উদ্দিন আহমেদ বলেন, ফুলবাড়িয়া মার্কেটের সামনে অবৈধ ক্যাবল সংযোগ উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার পর আমরা উদয়ন মার্কেট এলাকায় প্রায় ৩০টি বিভিন্ন ধরনের অবৈধ দোকান ও কার্যালয় গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।  এছাড়া গোলাপ শাহ মাজার থেকে গুলিস্তান আন্ডারপাস পর্যন্ত প্রায় ২০টি অবৈধ টং দোকান ও স্থাপনা, ফুটপাতের হকার উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। 

রোববার (০৯ আগস্ট) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ সংলগ্ন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রমের পাশাপাশি বঙ্গবাজার, আনন্দ বাজার এলাকায় অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

এদিকে করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন আদালত ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরের সম্মুখ অংশসহ ধানমন্ডি ৭ নং রোডে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। 

করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আগামী রোববার ধানমন্ডির অন্যান্য এলাকা ও হাজারীবাগ এলাকায় অবৈধ ক্যাবল সংযোগ উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।