ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

মান অক্ষুণ্ন রেখে সময়মতো প্রকল্পের কাজ শেষ করার আহ্বান

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৪৯, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০  
মান অক্ষুণ্ন রেখে সময়মতো প্রকল্পের কাজ শেষ করার আহ্বান

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের (ফাইল ফটো)

কাজের মান অক্ষুণ্ন রেখে সময়মতো প্রকল্পের কাজ শেষ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ওয়েস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের (ডব্লিউবিবিআইপি) অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ আহ্বান তিনি। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ‌্যমে সভায় অংশ নেন।

তিনি বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, অর্থ সাশ্রয়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কাজের মান অক্ষুণ্ন রেখে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শুরু এবং শেষ করা। সিংহভাগ প্রকল্প শুরু হতেই দেরি হয়ে যায়, তাই সময়মতো শেষ করা যায় না। পরিকল্পনা করে প্রাথমিক কাজগুলো দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে নিতে হবে।’

‘প্রকল্প বাস্তবায়ন বিলম্বিত হলে নানা সমস্যা দেখা দেয়। সরকারের আর্থিক প্রাক্কলন ও মধ্য মেয়াদি পরিকল্পনা বাধাগ্রস্ত হয়। অর্থ সংস্থানে দেখা দেয় জটিলতা। তাই মাঝপথে গতি বাড়িয়ে হলেও কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করার টার্গেট রাখতে হবে এবং তা অর্জন করতে হবে, বলেন ওবায়দুল কাদের।

জাইকার অর্থায়নে দেশের পশ্চিমাঞ্চলের ২৩টি জেলায় ছোট ও মাঝারি আকারের ৬১টি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, এ তথ‌্য জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও গোপালগঞ্জ জোনের আওতায় সেতুগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে। এরই মাঝে আরও কয়েকটি সেতু নির্মাণ প্রকল্প এতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। এতে মোট সেতুর সংখ্যা দাঁড়ায় ৮১টি। ইতোমধ্যে বিভিন্ন সড়ক জোনের আওতাধীন ২৫টি সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। ৩৫টি সেতুর নির্মাণকাজের গড় অগ্রগতি ৮০ শতাংশ। নুতন সংযুক্ত ২২টি সেতু নির্মাণ শুরুর লক্ষ্যে নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্প্রতি চুক্তি হয়েছে।’

নতুন সেতুগুলোর কাজ দ্রুত শুরু করার তাগিদ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগের ৬১টি সেতুর নির্মাণকাজ প্রকল্প দলিল অনুযায়ী এ বছরের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও শেষ হয়েছে মাত্র ২৫টির কাজ। এক্ষেত্রে আমি প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের আরো যত্নবান হতে বলব।’

জাইকার সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পগুলো সময়মতো কিংবা সময়ের আগেই শেষ হয়, উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কেএমজি প্রকল্প তার উদাহরণ। নানা বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও সময়ের সাথে সমন্বয় করে এগিয়ে চলছে মেট্রোরেলের কাজ। কিন্তু এ প্রকল্পের ক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্নতা দেখছি। তবে একটি বিষয় প্রশংসনীয় যে, এ প্রকল্পে প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শেষে দেখা যাচ্ছে, প্রকল্প সাহায্যের প্রায় ২৮৬ কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। এজন্য আমি জাইকা, প্রকল্প কর্তৃপক্ষ এবং নির্মাণ প্রতিষ্ঠানকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। অব্যয়িত বা সাশ্রয়ী এ অর্থে আরও ১০টি নতুন সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া আবশ্যক।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন প্রকল্পে কেনাকাটা যখন পত্রপত্রিকার শিরোনাম হচ্ছে, তখন অর্থ সাশ্রয়ের এমন উদাহরণ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। এর আগে কেএমজি প্রকল্পেও ১ হাজার কোটি টাকার বেশি সাশ্রয় হয়েছিল।’
অনেক আঞ্চলিক এবং জেলা সড়ক নির্মাণকাজ শেষে সাইন সিগন‌্যাল থাকে না, উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রতিটি সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে এবং পিএমপির আওতায় বাস্তবায়িত প্রকল্পে সড়ক-মহাসড়কের সাইন সিগন‌্যাল স্থাপনের বিষয়গুলো যুক্ত থাকে। কিন্তু বাস্তবে সবক্ষেত্রে কী দেখা যায়? অনেক আঞ্চলিক এবং জেলা সড়ক নির্মাণকাজ শেষে সাইন সিগন‌্যাল থাকে না। আবার কোথাও কোথাও ছয় মাস যেতে না যেতে সড়ক বিভাজক বিবর্ণ হয়ে যায়। আমি এ বিষয়ে সচিব মহোদয় এবং প্রধান প্রকৌশলীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’

ঢাকা/পারভেজ/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়