‘পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আসছে’

পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উন্নত বিশ্বের ন্যায় দেশেও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

রোববার (১৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ে নিজ কক্ষ থেকে এক কর্মশালায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। বাংলাদেশেও বিষয়টি পর্যালোচনা চলছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন দেশ গড়তে সবধরনের সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আনা হবে।

তাজুল ইসলাম বলেন, পয়ঃবর্জ্য, কঠিন বর্জ্যসহ অন্যান্য সব ধরনের বর্জ্য এমনভাবে ব্যবস্থাপনা করতে হবে যাতে পরিবেশ দূষিত না হয়। মানুষের স্বাস্থ্যের হানি না ঘটে। এজন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।

দেশের পৌরসভাগুলোতে যে সব সমস্যা রয়েছে তা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মেয়রদের উদ্দেশ্যে বলেন, পৌরসভাগুলোকে নিজস্ব আয় বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ কতে হবে।

বাংলাদেশ খুবই ঘনবসতি হওয়ায় পয়ঃবর্জ্যের পরিমাণ অনেক বেশি। তা সত্ত্বেও খোলা স্থানে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দেশে অনেক উন্নতি হয়েছে। শুধু সিটি করপোরেশ অথবা পৌরসভায় নয় এ  ব্যবস্থাপনা গ্রামে পর্যায়েও করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করতে হলে শুধু অর্থনৈতিক সূচক পূরণ করলেই হবে না। স্বাস্থ্য, পরিবেশসহ অন্যান্য যে প্যারামিটার আছে সেগুলোতেও গুরুত্ব দিতে হবে অর্থ্যাৎ সামগ্রিক উন্নয়ন করতে হবে। 

তিনি বলেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ তৈরি করতে সবধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হবে।

কর্মশালায় কারিগরি বিষয়বলি ওপর ইন্টারন্যাশনাল ট্রেনিং নেটওয়ার্ক- বুয়েটের পরিচালক ড. তানভীর আহমেদ উপস্থাপনা দেন এবং ইউনিসেফের ওয়াশ সেকশন চিফ মি. দারা জনস্টন এসডিজি ৬.২ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান তুলে ধরেন।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এবং ৫০ পৌরসভার মেয়র ও প্রকৌশলীরা অনলাইন কর্মশালায় অংশ নেন।