ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

আজ আমার অত্যন্ত আনন্দের দিন: প্রধানমন্ত্রী

জ‌্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৪৪, ২৩ জানুয়ারি ২০২১   আপডেট: ১৪:০২, ২৩ জানুয়ারি ২০২১
আজ আমার অত্যন্ত আনন্দের দিন: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আজ আমার অত‌্যন্ত আনন্দের দিন’ ।

ভূমি নেই, গৃহ নেই- এমন হাজারো পরিবারকে পাকাঘর ও জমি হস্তান্তর করতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করে তিনি এ কথা বলেন।  

প্রধানমন্ত্রী শনিবার (২৩ জানুয়ারি) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। মুজিববর্ষ উপলক্ষে এদিন দেশের ৪৯২ উপজেলার ৬৬ হাজার ১শ ৮৯ পরিবারকে পাকাঘর হস্তান্তর করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজ আমার অত্যন্ত আনন্দের দিন। গৃহহীন পরিবারকে গৃহ দিতে পারছি, এটি আমার সবচেয়ে আনন্দের।’

‘আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানুষের কথাই ভাবতেন।  আমাদের পরিবারের লোকদের চেয়ে তিনি গরীব অসহায় মানুষদের নিয়ে বেশি ভেবেছেন এবং কাজ করেছেন।  এই গৃহ প্রদান কার্যক্রম তারই শুরু করা।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন এই মানুষগুলো এই ঘরে থাকবে তখন আমার বাবা-মার আত্মা শান্তি পাবে। লাখো শহীদের আত্মা শান্তি পাবে। কারণ এসব মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই তো ছিল আমার বাবার লক্ষ্য।

“প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি সবার সম্মিলিত প্রয়াসেই এত বড় অসাধ্য সাধন হয়েছে। প্রশাসনে যারা আছেন, তারা সরাসরি কাজগুলো করেছেন বলে এত দ্রুত হয়েছে। এত অল্প সময়ে এত ঘর করে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করেছেন বিশ্বে একসাথে। এত মানুষকে ঘর দেওয়া নজিরবিহীন।”

“খুব আকাঙ্খা ছিল নিজে আপনাদের হাতে জমির দলিল তুলে দেই। কিন্তু করনোভাইরাসের জন্য হলো না। তারপরও আমি মনে করি, দেশ ডিজিটাল হয়েছে বলেই এভাবে উপস্থিত হতে পেরেছি। আমরা প্রত্যেক শ্রেণির জন্য কাজ করছি। সব মানুষকেই ঠিকানা করে দেবো, এটাই আমার লক্ষ্য। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একদিনে এত মানুষকে ঘর দিতে পারলাম এটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া। মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহারা থাকবে না। যাদের গৃহ নেই, তাদের ঘর করে দিতে পারা অসাধ্য সাধন করতে পারলাম, এরচেয়ে বড় পাওয়া আর হতে পারে না। 

“আজকে এটাই সবচেয়ে বড় উৎসব, এর চেয়ে বড় উৎসব আর বাংলাদেশে হতে পারে না।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পছন্দ করা নকশায় নির্মাণ করা হয়েছে প্রতিটি ঘর। প্রতিটি ঘরে থাকছে দুটি শয়ন কক্ষ, একটি লম্বা বারান্দা, একটি রান্নাঘর ও একটি টয়লেট। এসব ঘরের জন্য নিশ্চিত করা হয়েছে বিদ্যুৎ ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা। পরিবারগুলোর কর্মসংস্থানেরও উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

তারা শুধু ঘর নয়, সঙ্গে পাচ্ছেন ভূমির মালিকানাও। প্রত্যেককে তার জমি ও ঘরের দলিল নিবন্ধন ও নামজারিও করে দেওয়া হচ্ছে।

 প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আশ্রয়ণের সাথে বেদে দলিত হিজড়া দের ঘর করে করে দিয়েছি।”

উদ্ভোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন জেলায় উপকার ভুগীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন।

এ সময় লাইভে যুক্ত ছিল খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা, চাপাইনবাবগঞ্জ সদর, নীলফামারীর সৈয়দপুর ও হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলা।  এছাড়াও দেশের সব উপজেলা অনলাইনে যুক্ত হয়।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় প্রায় ৯ লাখ মানুষকে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে পাকাঘর উপহার দেওয়া হচ্ছে।  প্রথম পর্যায়ে ঘর পেলো এই ৬৬ হাজার পরিবার।  আগামী মাসে আরও ১ লাখ পরিবার বাড়ি পাবে। অনুষ্ঠানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের তৈরি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

ঢাকা/পারভেজ/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়