ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

শিল্পকলায় ১৪তম জাতীয় পিঠা উৎসব

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১৯, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১  
শিল্পকলায় ১৪তম জাতীয় পিঠা উৎসব

আমাদের গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে নানা রঙের, নানান স্বাদের এবং হরেক নামের পিঠা। এর মধ্যে রয়েছে মালপোয়া, পুলি, পাটিসাপটা, দুধচিতই, গোলাপ পিঠা, ঝিনুক, ক্ষীরকুলি, জামাইপুলি, পোয়া, খিরসাপুলি, সুন্দরীপাকন, মালাই, সন্দেশ, তিলপনির, নকশি, মোরগ, রসফুলসহ অনেক পিঠা।

গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যেরই অংশ এই পিঠা উৎসব চলছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে। ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই উৎসব চলবে আগামী ৪ মার্চ পর্যন্ত। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদ ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি যৌথভাবে এই উৎসবের আয়োজন করেছে।

পিঠা উৎসবের এটি চতুর্দশতম আয়োজন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলছে এই উৎসব।  স্টলের পাশাপাশি উৎসবের মঞ্চে প্রতিদিন বিকালে রয়েছে নাটক, আবৃত্তি, সংগীত, কৌতুক, নৃত্য, জাদু প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আয়োজন।

আয়োজকরা জানিয়েছেন, এবারের পিঠা উৎসবে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অংশ নিয়েছে ৪০টি স্টল। নানা স্বাদের প্রায় ২০০ ধরনের পিঠা  পাওয়া যাচ্ছে উৎসবে। নাগরিক জীবনে দেশের নানা অঞ্চলের, বিভিন্ন স্বাদের এবং নামের পিঠাকে পরিচিত করে তোলাই এ উৎসবের অন্যতম লক্ষ। উৎসবের শেষ দিনে পিঠা বানানোতে সেরা শিল্পীদের পুরস্কার দেওয়া হবে বলেও জানান তারা।

পিঠা উৎসবে সিদ্ধেশ্বরী এলাকা থেকে দুই মেয়ে এবং স্ত্রীকে নিয়ে আসা পুলিশ কর্মকর্তা সুব্রত শেখর ভক্ত বলেন, প্রতি বছরই এই পিঠা উৎসবে আসি।মেয়েদের পিঠা কিনে খাওয়াই।পিঠা আমাদের ঐতিহ্য। আমাদের ছোটবেলায় শীত মৌসুমে গ্রামে গিয়ে নানা স্বাদের পিঠা খেতাম। এখন শহরে থাকার কারণে বিভিন্ন ব্যস্ততায় গ্রামে যেতে পারি না। এসব পিঠার স্বাদও নিতে পারি না। তাই এখানে আসি।

শহরের বাসিন্দারা অনেকে পিঠার ঐতিহ্য সম্পর্কে খুব একটা জানেন না। নিজেরা বাসায় খুব কমই পিঠা তৈরি করেন বা করতে জানেন।পিঠার এই ঐতিহ্য দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে বলে জানান বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত গোপীবাগের বাসিন্দা আবু জাফর।

স্টলেই সরাসরি বানানো বিভিন্ন রকমের পিঠা বানিয়ে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছেন বেশিরভাগ স্টল মালিকরা।তবে তুলনামূলকভাবে পিঠার দাম একটু বেশি বলেই মনে করেন পিঠা উৎসবে স্বামী আর ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে আসা সেন্ট্রাল রোডের গৃহিনী মনোয়ারা।

পিঠার দাম বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালি পিঠাঘরের সালমা আক্তার বলেন, সবকিছুর দাম বেড়েছে।স্টল ভাড়া, সেলসম্যানদের সম্মানি এসব দেওয়ার পর তেমন একটা লাভ থাকে না।তাছাড়া পিঠার গুণগত মান অনেক ভালো বলে দাম একটু বেশি।

মেসবাহ/সাইফ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়