ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

মোদির সফরের আগে দুদেশের পানি সচিবদের বৈঠক

কূটনৈতিক প্রতিবেদক: || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:০৩, ১৬ মার্চ ২০২১  
মোদির সফরের আগে দুদেশের পানি সচিবদের বৈঠক

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে আগামী ২৬ মার্চ ঢাকা সফরে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার এই সফরের আগে দেশটির রাজধানী দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবদের বৈঠক। বৈঠকে ছয়টি নদীর পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। 

এতে বাংলাদেশের পক্ষে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার এবং ভারতের পানি সচিব পঙ্কজ কুমার নিজ নিজ দেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন। এ সময় ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক-সূত্রে জানা গেছে, এসময় সুরমা-কুশিয়ারা নদীর প্রকল্পের অধীনে নির্মিতব্য রহিমপুর খাল প্রাধান্য পেয়েছে। এছাড়া তিতাস নদীর দূষণ কমানো, মহানন্দা নদীর স্রোত নিয়ন্ত্রণ, অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন ও অববাহিকা-ভিত্তিক পানি ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

প্রসঙ্গত, সিলেটের কুশিয়ারা নদীর পানি পাঁচ হাজার একর জমির সেচ কাজে ব্যবহারের জন্য রহিমপুর খাল খনন কাজে আপত্তি করছে ভারত। এই বিষয়ে জানুয়ারি মাসের কারিগরি বৈঠকে দুপক্ষ দ্রুত বিষয়টি নিষ্পত্তি করার বিষয়ে একমত হলেও ভারত এখন পর্যন্ত কোনো উত্তর জানায়নি। এছাড়া, মহানন্দা নদীর পানি একতরফাভাবে ভারত প্রত্যাহারের কারণে বাংলাদেশের দিকের মহানন্দায় পানি প্রবাহ কমেছে। এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চায় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রায় ৪০৫টি নদী প্রবাহিত হচ্ছে এর মধ্যে ৫৭টি আন্তঃসীমান্ত নদী যার ৫৪টিই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অভিন্ন। বাকি তিনটি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে। ১৯৭২ সালের মার্চে যৌথনদী কমিশন গঠিত হয়েছিল দুদেশের প্রধানমন্ত্রীর এক যৌথ ঘোষণার মাধ্যমে। কিন্তু ১৯৯৬ সালে গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি হলেও অভিন্ন বাকি নদীগুলোর পানিবণ্টন চুক্তির বিষয়ে খুব বেশি অগ্রগতি হয়নি। তবে, গত কয়েক বছরে তিস্তা নদীর পানিবণ্টন নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই ২০১৯ সালে আলোচনায় আসে ছয়টি নদীর পানি বণ্টনের বিষয়টি।

ঢাকা/হাসান/এনই

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়