বোরো ধানের আবাদ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘বোরো ধানের আবাদ লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি হয়েছে। উৎপাদন বাড়ানোর জন্য এ বছর হাইব্রিড ধান চাষে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাও লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে। বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ধানের উৎপাদন অনেক ভালো হবে। শুধু ধান নয়, অন্যান্য ফসলের উৎপাদন পরিস্থিতিও ভালো অবস্থায় আছে।’

রোববার (২১ মার্চ) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে অনলাইনে বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সভা সঞ্চালনা করেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। এ সময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, অধীনস্থ সংস্থাগুলোর প্রধান ও প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এই ছোটো দেশে জনসংখ্যা অনেক বেশি, যা ক্রমশ বাড়ছে। অন্যদিকে, শিল্পায়ন, নগরায়নসহ নানা কারণে চাষের জমি দিন দিন কমছে। এই কম জমি থেকেই আমাদের মূল খাদ্য চাল উৎপাদন করতে হবে, চালে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে। একই সঙ্গে, সব ফসলে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চেষ্টা করা হচ্ছে, যেটি খুবই চ্যালেঞ্জিং। ভুট্টা, আলু, শাকসবজি, তেল, ডাল ও মসলা জাতীয় ফসলের চাষ ও উৎপাদন বাড়াতে চেষ্টা চলছে। কিন্তু, জমিস্বল্পতার কারণে একটির আবাদ বাড়াতে গেলে অন্যটির কমে যায়। সব ফসলের উৎপাদন অব্যাহত রাখা ও তা আরও বাড়াতে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে। উৎপাদনশীলতা বাড়াতে গবেষক-বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণকর্মীসহ সবাইকে আরও মনোযোগী হতে হবে।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, এ বছর ৪৮ লাখ ৫ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। আবাদ হয়েছে ৪৮ লাখ ৮৩ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে হাইব্রিড ধান চাষের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ১১ লাখ ৪ হাজার ৬৩৩ হেক্টর জমিতে। আবাদ হয়েছে ১২ লাখ ১৩ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে। গত বছরের তুলনায় এ বছর বোরো ধান আবাদ বেড়েছে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার হেক্টর জমিতে। হাইব্রিডের আবাদ বেড়েছে প্রায় ৩ লাখ ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে।

এ বছর বোরো ধানের আবাদ ও উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ সহায়তা বাবদ প্রায় ১৪৫ কোটি টাকার প্রণোদনা বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড জাতের ধানের চাষ বৃদ্ধিতে দেওয়া হয়েছে প্রায় ৮৫ কোটি টাকার প্রণোদনা।