ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

অলি-গলিতে  বিক্রি হচ্ছে ইফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:১৬, ১৪ এপ্রিল ২০২১  
অলি-গলিতে  বিক্রি হচ্ছে ইফতার

লকডাইনের কারণে রাজধানীর প্রধান সড়কের হোটেলগুলোতে ইফতার বিক্রি কম হলেও অলিগলিতে দোকানে ইফতার কেনায়  ভিড় দেখা গেছে। 

বুধবার (১৪ এপ্রিল) রাজধানীর শনিরআখড়া, রায়েরবাগ এলাকায় দেখা গেছে এই চিত্র।

প্রথম রমজানের দুপুরের পর থেকেই রাজধানীর প্রায় সব অলিতে-গলির রেস্তোরাঁর সামনেই বসেছে বাহারি ইফতারের আয়োজন। মাথায় টুপি-পাঞ্জাবি পরে ক্রেতাদের এসব দোকান থেকে ইফতার কিনতে দেখা যায়। তেমনি, নিজেদের ইফতারের দোকানের প্রতি ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে নানা সুরে হাঁকডাক ছাড়েন বিক্রেতারা। দোকানিদের উদ্দেশ্য ক্রেতাদের আকৃষ্ট করা। তবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের অধিকাংশের মুখে মাস্ক ছিল এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় ক্রয়-বিক্রয় করছেন। 

 রায়েরবাগ বাজারে ইফতার কিনতে আসা আবুল হোসেন নামের এক যুবক বলেন, ভাই প্রথম রোজা, কাজের বুয়া লকডাউনে বাড়ি গেছে।  তাই ইফতার কিনতে এলাম।

বিকেল সাড়ে ৫টায় শনির আখড়া, রায়েরবাগ এলাকার প্রধান সড়কগুলোর হোটেল-রেস্তোরাঁ অধিকাংশ বন্ধ দেখা গেছে। মূল সড়কের কোথাও ইফতারের কোনো দোকান চোখে পড়েনি। 

শনিরআখড়া বড় মাদ্রাসা এলাকায় আবু ইউসুফ নামের এক দোকানি বলেন, প্রতি বছর ইফতারের দোকান করি। এবার করোনার কারণে লকডাউন দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে দোকান নিয়ে বসেছি। বুট, বুরিন্দা, চপ, পিঁয়াজু, ছোলা, হালিম পার্সেল  বিক্রি করছি।  ক্রেতাদের আগেই বলে দিচ্ছি হোটেলে বসে ইফতার করা যাবে না। 

এ দোকানে ইফতার কিনতে আসা মিন্টু বলেন, ভাই রোজা রেখেছি। বাসায় আম্মা অসুস্থ। তাই ইফতার কিনতে এলাম।  ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই সচেতন।  সবাই মাস্ক এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইফতার কিনেছি।

প্রতি বছর মজাদার ইফতার তৈরি করেন রায়েরবাগের মোল্লা রেস্তোরা। এ রেস্তোরাঁর প্রোপাইটার হাবিব মোল্লা বলেন, ইফতারিতে ১০-১৫ রকম আইটেম  বানাতাম।  অনেকেই হোটেলে বসে খেত।  লকডাউনের কারণে ৫-৬ রকম ইফতারি বানিয়েছি।  হোটেলে বসে খাবার সুযোগ নেই।  সবই পার্সেল বিক্রি করছি।

তিনি বলেন, কাস্টমারদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দ্রুত পার্সেল দিয়ে দিচ্ছি।

রায়েরবাগ বাজারে দায়িত্বপালকারী  ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) এসআই রাকিব জামান বলেন, লকডাউনের মধ্যে সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইফতার কিনছেন কিনা- তা আমরা মনিটরিং করছি।  যারা ইফতার কিনতে বের হয়েছেন তাদের দ্রুত বাসায় যেতে বলছি।  হোটেল  মালিকদের মাস্ক ছাড়া কারো কাছে ইফতার বিক্রি করতে নিষেধ করা হয়েছে।  যারা মাস্ক ও স্বাস্থ্যবিধি মানছে না তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। 

 আসাদ/সাইফ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়