ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

 ঝুঁকি নিয়ে আজও ঢাকা ছাড়ছে মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৩৩, ১৫ এপ্রিল ২০২১  
 ঝুঁকি নিয়ে আজও ঢাকা ছাড়ছে মানুষ

আজও বাড়ি ফিরছেন অনেকে (ছবি: রাইজিংবিডি)

করোনা সংক্রমণ রোধে দ্বিতীয় দিনের মতো কঠোর লকডাউন চলছে সারাদেশে। লকডাউনের কারণে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তারপরও অনেকে পণ‌্যবাহী পরিবহন, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলে করে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।

বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে গাবতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, কিছু যাত্রী ঘোরাঘুরি করছেন প্রাইভেটকার বা মোটরসাইকেলের জন‌্য। আবার কিছু মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার গাবতলী বাস টার্মিনালের মধ‌্যে রাখা হয়েছে।

গাবতলী থেকে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে যাওয়ার জন‌্য অপেক্ষা করছেন মোহাম্মদ আসলাম হোসেন নামে এক যাত্রী। তিনি যাবেন বাগেরহাট। গাড়ির জন‌্য দেড় ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছেন বলে তিনি জানান। কয়েকজন মোটরসাইকেল চালকের সঙ্গে কথা হয়েছে তার। জন প্রতি ১২০০ থেকে ১৪০০ করে ভাড়া চেয়েছেন বলে জানান। সাধারণ সময়ের চেয়ে ভাড়া অনেক বেশি চাওয়াতে তিনি যেতে পারছেন না। 

আসলাম হোসেন বলেন, ‘আমি একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করি। লকডাউনের কারণে রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন ঢাকায় থেকে কী করব। একা থাকি। বাসায় রান্না করার জন্য যে কাজের লোক ছিল সেও করোনার জন‌্য আসে না। তাই বাড়ি যাচ্ছি। যে কয়দিন লকডাউন থাকবে বাড়িতেই থাকবো।’

গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে একটু এগিয়ে যেতেই দেখা গেলো, এক মোটরসাইকেল চালক দুই জন যাত্রী নিয়ে পাটুরিয়া ফেরিঘাটের উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে মোটরসাইকেল চালক বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী একজন যাত্রী বহন করা যায়। কিন্তু এখন গাড়ি না থাকায় এবং যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী মাঝে মাঝে ২ জন যাত্রী নিয়ে যাচ্ছি। পথে পুলিশ ধরলে কোনোভাবে তাদের বুঝিয়ে বা অন্য কোনো উপায় পাটুরিয়া ফেরিঘাট যাচ্ছি। জনপ্রতি ১২০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে কারণ আসার সময় একেবারে খালি আসতে হয়।’ 

এ বিষয়ে গাবতলী এলাকায় দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক (এস আই) মোহাম্মদ হাসনাত বলেন, ‘আমরা এখানে কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করছি। কাউকেই লকডাউনের নিয়ম বা সরকারের দেওয়া নির্দেশনা অমান্য করতে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা কাউকেই মুভমেন্ট পাশ ছাড়া চলাচল করতে দিচ্ছি না। কিছু কিছু মোটরসাইকেল বা প্রাইভেটকারে করে মানুষ যাচ্ছে তবে সেটা আমাদের চোখে পড়লে তাদের ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি কেউ যেন যেতে না পারে। তবে অনেককেই বলছে জরুরি কাজ আছে বা অফিসের কাজের জন্য সাভার যাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে আমাদের ছেড়ে দিতে হচ্ছে৷ তবে অধিকাংশই মুভমেন্ট পাশ নিয়ে যাচ্ছেন।’

ঢাকা/হাসিবুল/ইভা 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়