ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

লকডাউনে মহাসড়কে গাড়ির চাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৪২, ২ মে ২০২১  
লকডাউনে মহাসড়কে গাড়ির চাপ

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশে চলছে টানা লকডাউন। তবে মহাসড়কে বেড়েছে গাড়ির চাপ। লকডাউনকে উপেক্ষা করে সড়ক-মহাসড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। এছাড়া নিষিদ্ধ পরিবহন ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাও চলাচল করতে দেখা গেছে। 

রোববার (২ মে) রাজধানীর মতিঝিল থেকে শনিরআখড়া পর্যন্ত সরেজমিনের দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তিন চাকার অবৈধ যান। অবাধে চলছে মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ সিএনজি, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, রিকশা, ভ্যান। সঙ্গে চলছে ট্রাক, মিনিট্রাক, লেগুনা, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও রিকশা। বাস ছাড়া সবধরনের যানবাহনই চলছে মহাসড়কে।  তবে কোম্পানির ভাড়া করা কিছু বাস চলতে দেখা গেছে।

মহাসড়কে চলাচলরত সিএনজি অটোরিকশা, অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, মিনিট্রাক-ট্রাক এক অঞ্চলের মানুষকে অন্য অঞ্চলে নিয়ে যাচ্ছে অনাসায়ে।  তবে যারা এসব যানবাহন ব্যবহার করছেন, তাদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। উপায় না পেয়ে যাত্রীরা এসব যানবাহনে চলাচল করছেন।

সরেজমিনে যাত্রাবাড়ী মোড়ে দেখা যায়, ডেমরা, পোস্তগোলা, গাবতলী, মতিঝিল রুট একেবারেই উন্মুক্ত। তবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের থানার সামনে কিছু অংশে বেরিগেট দেওয়া থাকলেও অন্য অংশে সব ধরনের যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। 

এ প্রসঙ্গে দায়িত্বরত এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মার্কেট-শপিংমল খোলা থাকায় সড়কে মানুষ এবং যানবাহনের চাপ অনেক বেশি।  যাত্রাবাড়ীতে কাঁচাবাজার, মাছের আড়ৎ হওয়ায় খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায়ীদের আনাগোনা থাকে সব সময়। পণ্য পরিবহনের জন্য নিয়োজিত যানবাহন চলাচলে বাঁধা দেওয়ার সুযোগ নেই।

এদিকে রাজধানীর খিলগাঁও, বাসাবো, কমলাপুর, মানিকনগর ঘুরে দেখা যায়, এসব সড়ক দিয়ে মহাসড়কে প্রবেশ করছে বিভিন্ন যানবাহন। প্রতিটি যানবাহনে রয়েছে যাত্রী অথবা পণ্য। কিছু কিছু সিএনজি যাত্রাবাড়ী থেকে মেঘনাঘাট পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন করছে। আবার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাগুলো যাত্রী নিয়ে ছুটে যাচ্ছে চিটাগংরোড, কাঁচপুর ব্রিজ পর্যন্ত। আর সাধারণ রিকশাগুলো ছুটছে সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, রায়েরবাগ, সাইনবোর্ড পর্যন্ত।  অন্যদিকে ডেমরা রোডের পরিস্থিতিও একই রকম।

অন্যদিকে ট্রাক, মিনিট্রাক, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার রাত-দিন আন্ত:জেলার যাত্রী পরিবহন করছে নিয়মিত। গণপরিবহন চলাচলের বিধি-নিষেধ উঠবে কি না এই শঙ্কায় অনেকেই রাজধানী ছাড়ছেন মাইক্রো, প্রাইভেটকার ভাড়া করে।  আবার নিম্ন-মধ্যবিত্ত আয়ের অনেক পরিবারকে দেখা যায়, ঢাকার বাসা ছেড়ে দিয়ে মিনিট্রাকে করে বাড়ি ফিরছেন।

মামুন/সাইফ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়