ডিজিটাল বাণিজ্য হতে হবে বহুপাক্ষিক: মোস্তাফা জব্বার

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘ডিজিটাল বাণিজ্য একপাক্ষিক নয়, তা হতে হবে বহুপাক্ষিক। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কাছে যেমন শহুরে পণ্য পৌঁছে দিতে হবে, ঠিক তেমনই প্রান্তিক কৃষকের উৎপাদিত কৃষিপণ্য শহরে পৌঁছে দিতে হবে। এতে অর্থনীতি গতি পাবে, কর্মসংস্থান বাড়বে এবং মধ্যস্বত্বভোগী, ফরিয়া ও দালালের দৌরাত্ম‌্য কমবে। কৃষক তার পণ্যের দাম পাবে।’

রোববার (৯ মে) ঢাকায় ডিজিটাল কমার্স সম্প্রসারণে ডাক বিভাগের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে ই-ক্যাব আয়োজিত ভার্চুয়াল সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন, ই-ক্যাবের সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল ওয়াহেদ তমালসহ ডাকঘরের উদ্যোক্তা প্রতিনিধিরা বক্তৃতা করেন।

কায়িক শ্রমভিত্তিক কেনাকাটা আগামী দিনে চলবে না, উল্লেখ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘ভবিষ্যৎ বাণিজ্য বলতে ডিজিটাল বাণিজ্য বোঝাবে। প্রচলিত ধারার বাণিজ্যের অস্তিত্ব থাকবে না।’

তিনি বলেন, ‘প্রচলিত ধারার শিক্ষাও ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবে না।’ ডাকঘরের উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল যুগের উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য নিজেদের তৈরি করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ডিজিটাল দক্ষতা ছাড়া ডিজিটাল যুগে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা যাবে না।’

প্রত্যেককে ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করার আহ্বান জানিয়ে ডিজিটাল কমার্সের বিকাশের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের জন্য কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার নেই। ডিজিটাল প্রযুক্তি সম্পর্কে মৌলিক ধারণা থাকলেই তা সম্ভব।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক ছাত্র মোস্তাফা জব্বার তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে তার দক্ষতা অর্জনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, ‘১৯৮৭ সালের আগে আমি কম্পিউটার বুঝতাম না। কিন্তু আমার হাতের তৈরি ডিজিটাল বাংলা বর্ণমালা দিয়েই দেশের পত্রিকা প্রকাশনায় বিপ্লব সূচিত হয়।’

উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল প্রশিক্ষণসহ কোর্স ম‌্যাটেরিয়াল দিয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘তোমরা অতীত যুগের নও। টিকে থাকার জন্য ডিজিটাল যোগ্যতা অর্জনের বিকল্প নেই।‘

ই-ক্যাব শূন্য থেকে অল্প সময়ে মহীরুহে পরিণত হয়েছে, উল্লেখ করে ই-ক্যাব প্রতিষ্ঠার পৃষ্ঠপোষক মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ডিজিটাল কমার্সের জন্য ডাকঘরসহ যাদের যুক্ত করা দরকার, ই-ক্যাব তা সঠিকভাবেই চিহ্নিত করতে পেরেছে। শত শত বছরে গড়ে ওঠা ডাকঘরের বিশাল অবকাঠামো ডিজিটাল বাণিজ্য বিকাশে মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। ডাকঘরকে সম্পুর্ণভাবে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনার কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।‘