ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

৪০টি অক্সিজেন জেনারেটর আমদানি করবে স্বাস্থ্য বিভাগ

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৪৩, ১৭ মে ২০২১  
৪০টি অক্সিজেন জেনারেটর আমদানি করবে স্বাস্থ্য বিভাগ

ভারতে কোভিড-১৯ এর বিদ্যমান অবস্থার অভিজ্ঞতার আলোকে ৪০টি অক্সিজেন জেনারেটর সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য ব্যয় হবে ৯২ কোটি ৬ লাখ ২৮ হাজার টাকা।

অক্সিজেন জেনারেটরগুলো দ্রুত সংগ্রহের জন্য দরপত্র আহ্বানের পরিবর্তে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে সংগ্রহ করা হবে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, কোভিড-১৯ মহামারির সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ ভয়াবহ আকার ধারণ করায় সংক্রমিত রোগীর অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে যাওয়ার কারণে দ্রুত অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে।  অক্সিজেনের চাহিদা পূরণের জন্য এ পর্যন্ত বিভিন্ন হাসপাতালে হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা (এইচএফএনসি), অক্সিজেন সিলিন্ডার, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ইত্যাদি চিকিৎসা সরঞ্জাম ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

সূত্র জানায়, বিশেষায়িত ও বড় ধরনের কিছু হাসপাতালে অক্সিজেন প্ল্যান্টের সংস্থান থাকলেও দেশের বেশির ভাগ হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা নেই।  শ্বাসকষ্টজনিত করোনা রোগীর জীবন রক্ষায় যেসব ‘কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে’ অক্সিজেনের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নেই সেসব হাসপাতালে বড় আকারের ব্যয়বহুল অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপনের বিকল্প হিসেবে অক্সিজেন জেনারেটর স্থাপনের মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহ বজায় রাখা সম্ভব হবে এবং জরুরি স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা যাবে।

ভারতের কোভিড-১৯ এর বিরাজমান পরিস্থিতির ভয়াবহ অভিজ্ঞতায় অক্সিজেন সংকট এবং অক্সিজেনের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের বিষয়টি প্রাধান্য পাচ্ছে।  দেশটিতে শুধু অক্সিজেনের অভাবে প্রতিদিন মৃত্যুর হার বাড়ছে।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত এমন অবস্থার মুখোমুখি হতে হয়নি। তবু ভবিষ্যতের অবস্থা মাথার রেখে নিরবিচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করতে অক্সিজেন প্লান্টগুলো সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, জরুরি পরিস্থিতিতে বড় আকারের ব্যয়বহুল অক্সিজেন প্লান্টের বিকল্প হিসাবে ৪০টি অক্সিজেন জেনারেটর কাস্টম শুল্ক, ভ্যাট, আয়কর, অভ্যন্তরীণ পরিবহন খরচ ইত্যাদিসহ বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রাক্কলিত এয়ারফ্রেইট চার্জসহ ৯২ কোটি ৬ লাখ ২৮ হাজার ৩৭০ টাকার প্রয়োজন হবে। অক্সিজেন জেনারেটর ক্রয়ের বাজেট বরাদ্দের বিষয়ে অর্থবিভাগ থেকে আশ্বাস পাওয়া গেছে।

সূত্র জানায়, উন্মুক্ত ক্রয় পদ্ধতিতে অক্সিজেন জেনারেটর প্লান্ট ক্রয়ের ক্ষেত্রে কার্যাদেশ দেওয়াসহ বিদেশ থেকে আমদানি প্রক্রিয়ায় উক্ত মালামালের সরবরাহ পেতে, পরিবহন, ইনস্টলেশন, কমিশনিং, ইত্যাদি সম্পাদন করতে প্রায় চার থেকে পাঁচ মাস সময় লেগে যেতে পারে। বিরাজমান জরুরি পরিস্থিতিতে সময় সাশ্রয়ের জন্য অক্সিজেন জেনারেটর প্লান্ট সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণ করে করা হবে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

হাসনাত/সাইফ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়