রংপুরে তামাকচাষি ও ব্যবসায়ীদের ৬ দাবি

২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ি শিল্পের ওপর শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব না করায় প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ৬ দফা দাবি জানিয়েছে রংপুর তামাকচাষি ও ব্যবসায়ী সমিতি।

মঙ্গলবার (১৫ জুন) বেলা ১১টায় রংপুরের ধাপে অবস্থিত রায়ান্স হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত ব্যক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুম ফকির। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির সভাপতি মজিবর রহমান, ৬ নং জলঢাকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হামিদুল হক, মিজানুর রহমান মিজান, ফারুক হোসেন প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্যে মাসুম ফকির বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের, বিশেষ করে বৃহত্তর রংপুরের অনেক মানুষ তামাক চাষের সঙ্গে জড়িত। এখানকার মাটিতে বালুর পরিমাণ বেশি হওয়ায় অন্য ফসলের ফলন ভালো হয় না। এজন্য আমরা তামাক চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করি। এই তামাক ব্যবহার হয় বিড়ি শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে। তামাকচাষি ও ব্যবসায়ীরা বিড়ি শিল্পের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান বাজারে নিম্নস্তরের সিগারেট প্রায় ৭২ শতাংশ বাজার দখল করে আছে, যা বহুজাতিক কোম্পানির দখলে। সিগারেটের এই নিম্নস্তরটিতে শুল্ক বৃদ্ধি করা হলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আহরণ করতে পারবে। সেই সঙ্গে বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের হাজার হাজার তামাকচাষি ও ব্যবসায়ীদের ব্যবসা এবং জীবন-জীবিকার মানের উন্নয়ন হবে।’

তামাকের ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ, তামাক বিক্রির নিশ্চয়তা, বিড়ির ৪ টাকা মূল্যস্তর কমানো, বিড়িতে আরোপিত ১০ শতাংশ অগ্রিম আয়কর কমানো, বহুজাতিক কোম্পানির আগ্রাসন থেকে তামাকের সুরক্ষা ও নিম্নস্তরের সিগারেটের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির দাবি জানান তিনি।