পশুর হাট: বেড়েছে বিক্রি, বৃষ্টিতে দুর্ভোগ
রাত পোহালে পবিত্র ঈদুল আজহা। শেষ মুহূর্তে হাটে প্রচুর বিক্রি হচ্ছে পশু। তবে বিক্রিতে বাগড়া দিয়েছে বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে জমে কাদার সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যেই চলছে বেচাকেনা।
মঙ্গলবার (২০ জুলাই) রাজধানীর শনির আখড়া পশুর হাটে এ চিত্র দেখা গেছে।
দেখা যায়, হাটে বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির পানি জমেছে। কোথাও পানি সরাতে বালু ফেলা হচ্ছে। আবার কোথাও হাঁটু সমান পানির মধ্যে গরু রাখা হয়েছে।
ফরিদপুর জেলার সদরপুরের সুলতান বেপারি। তার ৪০টি গরু বৃষ্টিতে ভিজে একাকার। ভিজছেন নিজেও। আক্ষেপ করে বলেন, বৃষ্টির জন্য নিজে দাঁড়াতে পাড়ছি না, পারছে না গরু দাঁড়াতে। তিনি বলেন, হাটে পর্যাপ্ত টয়লেট নেই। নেই থাকার ব্যবস্থা। খেতে হয় অস্থায়ী দোকানে।
তিনি আরও বলেন, হাট থেকে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আয় করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। কোটি টাকা লাভ করেন ইজারাদার। কিন্তু গরু বেপারিদের দিয়ে এত আয়, এত আয়োজন সেই বেপারিদের থাকা-খাওয়া ও গরুগুলোকে রোদ-বৃষ্টি থেকে রক্ষা করতে কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি।
শনিআখড়া হাটে দেখা যায়, ৩৫ হাজার থেকে শুরু করে ২৫ লাখ টাকা দামের গরু হাটে নিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ীরা। পশুর হাট হাট সাজিয়ে গুছিয়ে নতুন রূপে তৈরি করা হয়েছে। করা হয়েছে বাহারি রংয়ের আলোকসজ্জা। আগত বেপারি ও ক্রেতাদের নিরাপত্তা ও থাকার জন্য বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা রাখা হয়েছে। জালনোট প্রতিরোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে জালনোট শনাক্তকরণ বুথ স্থাপন করা হয়েছে।
মাদারীপুর থেকে ৭০টি গরু নিয়ে আসা রহমত আলী বেপারী বলেন, গতকাল ৩০টি ছয়টি গরু বিক্রি করেছি। রাতে বৃষ্টি না হলে গতকাল রাতে বৃষ্টি না হলে সব বিক্রি হয়ে যেত।
শনির আখড়া গরুর হাট পরিচালনা কমিটির সদস্য মনির হোসেন বলেন, আমরা শতকরা ৫ শতাংশ করে হাসিল নিচ্ছি।
/আসাদ/এসবি/
আরো পড়ুন