লকডাউনে গার্মেন্টস নিরাপত্তায় প্রশাসনের হয়রানি বন্ধের আহ্বান
নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশব্যাপী চলছে কঠোর বিধি-নিষেধ। চলমান পরিস্থিতিতে কৃষি বা খাদ্য পণ্য ছাড়া উৎপাদনমুখি সব শিল্প কারখানা বন্ধ রয়েছে।
তবে শিল্প কারখানার নিরাপত্তা, গ্যাস ও বিদ্যুতের সুইচ বোর্ড, মেশিনারিজ মনিটরিং ও ব্যবস্থাপনা তদারকির জন্য স্বল্প সংখ্যক জনবল উপস্থিতি রয়েছে শিল্পাঞ্চলগুলোতে।
এজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোক্তাও নিরাপত্তা কর্মীদের বা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের হয়রানি করা হচ্ছে বলে ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে তা বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে।
২৬ জুলাই (সোমবার) বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান, এমপি স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এই তথ্য জানা গেছে। চিঠি ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, কুমিল্লা ও ফেনী জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বিকেএমইএ’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “সরকার লকডাউন নিয়ে যে নির্দেশনা দিয়েছে, সেখানে আমদানি রপ্তানির স্বার্থে ব্যাংক, বন্দর ও সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টগুলো খোলা রাখার নির্দেশনা আছে। এমন নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও অনেক সময় প্রশাসনের লোকজন কারখানা খোলা দেখতে পেলে উদ্যোক্তাদের নানাভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন এবং সে কারণে তাদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
‘বিকেএমইএ কোনোভাবেই চলমান লকডাউনের সময় কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম চালুর পক্ষে নই। তাই কোনো কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম চলমান পাওয়া গেলে, সেই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আপনারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করলে তাতে বিকেএমইএ’র কোনো আপত্তি নেই।
‘তবে কারখানার নিরাপত্তা, গ্যাস ও বিদ্যুতের সুইচ বোর্ড মনিটরিং ও ব্যবস্থাপনা এবং মেশিনারিজ নৈমিত্তিক পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় স্বল্প সংখ্যক জনবল ও উদ্যোক্তাদের কারখানায় উপস্থিত থাকলে, বিশাল বিনিয়োগকৃত এই শিল্পের স্বার্থে তাদের যেন কোনোভাবেই হয়রানি করা না হয়। তা নিশ্চিত করার জন্য আপনাকে (জেলা প্রশাসক) সবিনয়ে অনুরোধ জানাচ্ছি।”
একইসঙ্গে, উল্লেখিত ব্যক্তিদের কাজের উদ্দেশ্যে কারখানায় যাতায়াতে রাস্তায় যেন কোনো রকম হয়রানির শিকার না হয়, তার সুবন্দোবস্ত করার জন্য প্রশাসনের আন্তরিক সহযোগিতা চেয়েছে বিকেএমইএ।
ঢাকা/শিশির/সনি
আরো পড়ুন