ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

বৈষম্যমূলক হিন্দু আইন পরিবর্তন দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:২৭, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১  
বৈষম্যমূলক হিন্দু আইন পরিবর্তন দাবি

শিশু, প্রতিবন্ধী এবং তৃতীয় লিঙ্গের প্রতি বৈষম্যমূলক হিন্দু আইন পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদ।

শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনের নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রচলিত প্রথানির্ভর হিন্দু আইনে নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী এবং তৃতীয়লিঙ্গের মানুষ দীর্ঘকাল ধরে নানাভাবে বৈষম্য ও বঞ্চনার শিকার হয়ে আসছে। আইনগুলো প্রায় শতাব্দীকাল ধরে  অসংশোধিত রয়ে গেছে।  ফলে আদালতে মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে এবং সুবিচার প্রতিষ্ঠায় ব্যাঘাত ঘটছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে প্রচলিত এই আইন বৃটিশ আমলে গৃহীত এবং সনাতন হিন্দুধর্মের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ।  বৌদ্ধ, জৈন ও বিভিন্ন আদিবাসী গোত্রের মানুষ আলাদা ধর্মের অনুসারী হলেও তাদের সবাইকে একই হিন্দু আইনের আওতাভুক্ত করা হয়েছে।  ধর্মের নামে এই আইন প্রচলিত হলেও বাস্তবিক অর্থে এর সঙ্গে ধর্মের সম্পর্ক নামেমাত্র। এসব আইন মূলত প্রথাগত।

আরও বলা হয়, বর্তমান সরকার জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি-২০২১ প্রণয়নের মাধ্যমে লিঙ্গবৈষম্য নিরসনে অঙ্গীকারবদ্ধ। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারেও নারীর প্রতি বৈষম্য নিরসনের অঙ্গীকার রয়েছে।  তাই অনতি বিলম্বে হিন্দু আইন সংস্কারের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী এবং তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের ওপর বৈষম্য ও অবিচারের অবসান ঘটানোর জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানায় সংগঠনটি।

সংগঠনের সভাপতি ড. ময়না তালুকদার বলেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, উন্নতি, শক্তি ও মর্যাদা বাড়ানো, গতিশীলতা, মামলা জটিলতা, বিভিন্ন দেশে আইন সংশোধন, ধর্মের মূল চেতনা প্রতিষ্ঠা এবং হিন্দু সম্প্রদায়কে রক্ষা-এই ৯টি সুনির্দিষ্ট কারণে হিন্দু আইনের সংস্কার প্রয়োজন।

/মামুন/সুমি/এসবি

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়