ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

অর্থনৈতিক অঞ্চল রক্ষা প্রকল্পের ব্যয় বাড়লো ১০৮ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৪৭, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১   আপডেট: ১১:৪৮, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
অর্থনৈতিক অঞ্চল রক্ষা প্রকল্পের ব্যয় বাড়লো ১০৮ কোটি টাকা

যমুনা নদীর ভাঙন থেকে অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম গাইড বাঁধ রক্ষা করা প্রকল্পের ব্যয় বাড়লো ১০৮ কোটি ২১ লাখ টাকা। ব্যয়ের সাথে প্রকল্পটি বস্তবায়নের মেয়াদও এক বছর বাড়ানো হয়েছে।

পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্টরা জানান, পনি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘সিরাজগঞ্জ জেলায় যমুনা নদী হতে পুনরুদ্ধারকৃত ভূমির উন্নয়ন এবং প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চল রক্ষা’ প্রকল্পটি প্রথম সংশোধন করা হয়েছে।  প্রকল্পটি জানুয়ারি ২০১৮ হতে জুন ২০২০ সালে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একনেকে প্রথম অনুমোদন দেওয়া হয়।  কিন্তু করোনা মহামারির ফলে ব্যয় না বাড়িয়ে প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে জুন ২০২১ সাল পর্যন্ত করা হয়।

এই সময়ের মধ্যেও প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে না পারায় প্রকল্পটি গতকাল (৭ সেপ্টেম্বর) একনেকে প্রথম সংশোধন করে এর মেয়াদ জুন ২০২২ সাল পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।  পাশাপাশি ৫০৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ব্যয় থেকে বাড়িয়ে ৬৩৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা করা হয়।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো)।  প্রকল্পটি ২০২১-২২ অর্থবছরের এডিপিতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দসহ অন্তর্ভুক্ত আছে।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে যমুনা নদীর ভাঙন হতে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম গাইড বাঁধ রক্ষা করা, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সিরাজগঞ্জ লঞ্চঘাট এবং শহরের বিয়ারা ঘাট, ঘোনাপাড়া ও সয়দাবাদ এলাকার কৃষি জমি, ঘর-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট, সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা যমুনা নদীর ভাঙন হতে রক্ষা করা, নদীর গভীরতম স্রোতধারা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে টেকসই নদী ব্যবস্থাপনা বজায় রাখা, নদী ভাঙন প্রতিরোধের মাধ্যমে এলাকার জনসাধারণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন, নদীতীর রক্ষার মাধ্যমে পরিবেশ ও বাস্তুসংস্থানের ভারসাম্য বজায় রাখা এবং পুনরুদ্ধারকৃত ভূমি ড্রেজিং করা মাটির মাধ্যমে ভরাট করা হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, ৩ কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণ, নদী ড্রেজিং দ্বারা ১৮২ লাখ ঘনমিটার পুনরুদ্ধারকৃত ভূমি উন্নয়ন, ৩ কিলোমিটার মাটির বাঁধ নির্মাণ এবং ৮৪ মিটার আর্চ ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।  অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় পানি সম্পদ সেক্টরের অন্যতম উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হচ্ছে নদী তীর সংরক্ষণ ও বাঁধ পুনর্বাসন করা।  যার সাথে প্রকল্পটি সঙ্গতিপূর্ণ।

প্রকল্প সংশোধনের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, মাটির বাঁধ নির্মাণ ও নদীর তীর সংরক্ষণ কাজের পরিমাণ হ্রাসকরণ (৩.২০ কিলোমিটার থেকে ৩.০০ কিলোমিটার নির্ধারণ), ভূমি উন্নয়ন খাতে মাটি ভরাটের পরিমাণ বৃদ্ধিকরণ (১৫০.২৫ লাখ ঘনমিটার থেকে ১৮২ লাখ ঘনমিটার নির্ধারণ) এবং প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বৃদ্ধি ।

পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে যমুনা নদী হতে পুনরুদ্ধারকৃত ভূমির উন্নয়ন এবং প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চল রক্ষা করা সম্ভব হবে।  একই সাথে প্রকল্প এলাকার সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা যমুনা নদীর ভাঙন হতে রক্ষা করা যাবে। অর্থনৈতিক অঞ্চল, গাইড বাঁধ এবং প্রকল্প এলাকার জনসাধারণের জানমাল রক্ষা বিবেচনায় প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

হাসিবুল/সুমি

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়